১৩ মাস পর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফিরলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা...
আজকাল | ১৯ মে ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মুর্শিদাবাদে ফিরলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। শনিবার রাতে তিনি বড়ঞার আন্দি এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। চলতি মাসের ১৪ তারিখের সুপ্রিম কোর্ট থেকে একাধিক শর্তের ভিত্তিতে জামিন পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণকে। তবে তৃণমূল বিধায়ক জামিন পাওয়ার পরই মুর্শিদাবাদ জেলাতে নিজের বাড়িতে ফেরেননি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য কলকাতাতেই ছিলেন। শনিবার রাতে অবশেষে নিজের বাসভবনে ফিরে এলেন বড়ঞার বিধায়ক। প্রসঙ্গত- বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের দু'টি মোবাইল ফোন বাড়ির ঠিক পেছনের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর পাম্প মেশিন এনে পুকুর থেকে সম্পূর্ণ জল তুলে ফেলে জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোন দুটি উদ্ধার করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন সিবিআই-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত একাধিক তথ্য তারা পেয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টে জীবনকৃষ্ণ সাহার পক্ষ থেকে জামিনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই জীবনকৃষ্ণ সাহার তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়। শনিবার রাতে বড়ঞা বিধানসভার আন্দিতে নিজের বাড়িতে ঢোকার আগে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে এলাকার কালী মন্দিরে প্রণাম করেন তৃণমূল বিধায়ক। বাড়িতে ঢোকার সময় পরিবারের সদস্যরা বরণ করে নেন তাঁকে। দীর্ঘ ১৩ মাস পর বিধায়ক এলাকায় ফিরে আসায় আনন্দিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। আজ তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আন্দির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কয়েক'শ তৃণমূল কর্মী সমর্থক। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, 'দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। সত্যের জয় হয়েছে। সকলের সাথে আজকের আনন্দ আমি ভাগ করে নিচ্ছি। জামিনের শর্ত অনুযায়ী এরপর থেকে আমি তদন্তকারী সংস্থাকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করব এবং কোর্টের নির্দেশ মেনে চলব।' তৃণমূল বিধায়ক জানান- দলের তরফ থেকে তাঁকে কাজের মধ্যে থাকতে, এলাকায় ঘুরতে এবং উন্নয়নের জন্য সক্রিয় হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।