• ‌স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি পেলেন নেদার‌ল্যান্ডসের তরুণী...
    আজকাল | ১৯ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অসহনীয় ও দুরারোগ্য মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী জোরায়া টার বিক (২৯)। অবশেষে সেই অনুমতি মিলেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন তিনি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, জোরায়া বিক মানসিক রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে সবসময় বিষন্নতা, হতাশা, ভয় কাজ করে। এই কারণে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে চান। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছামৃত্যুর আইন রয়েছে। তবে স্বেচ্ছামৃত্যুতে যারা আগ্রহ দেখান তাদের কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কীভাবে মৃত্যু হবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন করা হবে সেটি নিজেই জানিয়েছেন এই তরুণী। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে শুরু হবে। যতক্ষণ না আমি কোমায় যাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে হার্টের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে না। আমার জন্য বিষয়টি এমন হবে যেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। আমার প্রেমিক আমার সঙ্গে সেখানে থাকবে। তবে তাঁকে আমি বলেছি আমার মৃত্যুর আগের মুহূর্তে সে চাইলে বাইরে বের হয়ে যেতে পারে।’‌ মৃত্যুর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তরুণীর বাড়িতেই চিকিৎসক আসবেন। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনও মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, তরুণীর কষ্টের শুরুটা শৈশবেই। তিনি ক্রনিক ডিপ্রেশন (দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতা), উদ্বেগ, ট্রমা ও আনস্পেসিফাইড পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। তাঁর অটিজমও রয়েছে। এরপর তাঁর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে থাকে। চিকিৎসা করিয়েও ভাল হয়নি। তাই এই স্বেচ্ছামৃত্যু। এই তরুণী একসময় আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু স্কুলের এক বন্ধুর ভয়াবহ আত্মহত্যা এবং তার পরিবারের ওপর ওই ঘটনার প্রভাবের কথা মনে করে তিনি পিছিয়ে আসেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন। সম্মতি পেতে লাগল সাড়ে তিন বছর। 
  • Link to this news (আজকাল)