রামদেবের পতঞ্জলির শনপাপড়িও গুণমান পরীক্ষায় ফেল, ৩ জনের ৬ মাসের জেল-জরিমানা
আজ তক | ২০ মে ২০২৪
উত্তরাখণ্ডের একটি আদালত পতঞ্জলি এলাচের শোনপাপড়ি তৈরিতে খাদ্য নিরাপত্তা মান লঙ্ঘনের জন্য ৩ জনকে ছ'মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। সহকারী প্রসিকিউশন অফিসার রিতেশ ভার্মা বলেছেন যে, শনিবার পিথোরাগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় সিং জেলের সাজা ছাড়াও তাকে ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন।
সংবাদ সংস্থার মতে, ভার্মা বলেছেন যে, আদালত পিথোরাগড়ের বেরিনাগ শহরের দোকানদার লীলাধর পাঠককে পণ্য বিক্রির জন্য ছ'মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে৷ আদালত পতঞ্জলির অনুমোদিত প্রতিনিধি, নৈনিতালের কানহাজি ডিস্ট্রিবিউটরস প্রাইভেট লিমিটেড, রামনগরের সহকারী ব্যবস্থাপক অজয় যোশিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক অভিষেক কুমারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ ছ'মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তিনজনকেই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট ২০০৬-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভার্মা বলেছিলেন যে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে পাঠকের দোকান থেকে পতঞ্জলি এলাচ নবরত্ন সোনপাপড়ির নমুনা সংগ্রহ করার পরে, তাদের পরীক্ষার জন্য উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের জাতীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। ২০২১ সালে এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল যখন রিপোর্টে দেখা যায় যে নমুনাগুলি খাদ্য সুরক্ষা মানগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি যে ওষুধগুলির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে, সেই ওষুধগুলি কীভাবে ফিরিয়ে আনবে? এই নোটিশে সুপ্রিম কোর্ট পতঞ্জলিকে জিজ্ঞাসা করেছে, যে ওষুধের লাইসেন্স বাজার থেকে স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলিকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা কী? নোটিশের জবাব দিতে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত। গত মাসে, উত্তরাখণ্ডের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ পতঞ্জলির দিব্যা ফার্মেসি কোম্পানির ১৪টি পণ্য নিষিদ্ধ করেছিল।
যোগগুরু বাবা রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এমডি বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলার শুনানি করছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ। উভয়ের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, রামদেব এবং বালকৃষ্ণকেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।