ভোটের ফল বেরোবার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভগবানগোলা। তৃণমূল ও সিপিএম দু’পক্ষেরই আশঙ্কা, ভোটের ফল বেরোবার পর যে দলই জিতুক অশান্তি বাড়বে ভগবানগোলা ও রানিতলা এলাকায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, হাসানপুর, ডিহিপাড়া, চর দেবীপুরে গত কয়েক দিন থেকে সিপিএম হামলা চালাচ্ছে শাসক দলের কর্মীদের উপরে।
সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।বামেদের দাবি, চর দেবীপুরে বুধবার গভীর রাত থেকে হামলা চলছে তাদের এক পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টায় এই হামলা করে তৃণমূলের লোকজন। বামেদের দাবি, অথচ পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যের দুই ভাইকে। তৃণমূল অবশ্য সে দাবি অস্বীকার করেছে।
গত ৭ মে ভোট হয়েছে ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনে। মারধরের দু’একটি ঘটনা ঘটলেও ভোট পর্ব মিটেছে নির্বিঘ্নেই।
তৃণমূল প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারের অভিযোগ, ‘‘ভোটের পর থেকেই সিপিএমের কর্মীরা জিতে গিয়েছি ভাব দেখিয়ে হামলা শুরু করেছে। হাসানপুরে তৃণমূলের এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। ডিহিপাড়ায় ৪ সমর্থককে মারধর করা হয়েছে একই ভাবে।”
রেয়াত ভগবানগোলা ১ ব্লক সভাপতিও। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ অভিযোগ পেয়েও কোনও পদক্ষেপ করছে না। যারা অভিযুক্ত তারা ঘুরে বেরাচ্ছে। আমাদের দলের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। এ জিনিস যদি চলতে থাকে, পুলিশ যদি নিষ্ক্রিয় থাকে তবে আমাদের প্রতিবাদে নামতে হবে। ভোটে এখনও জেতেনি। তার আগেই গোটা এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের হাওয়া তৈরি করতে চাইছে সিপিএম।”
সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ কামাল হোসেন পাল্টা বলেন, “হামলা চলছে আমাদের কর্মীদের উপরেই। শুক্রবার সকালেও প্রচুর সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী মোটরবাইক নিয়ে চর দেবীপুরে আমাদের সদস্যের বাড়িতে হুমকি দিয়ে এসেছে। বুধবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ তার বাড়িতে হামলা করে তৃণমূলের লোকজন। পুলিশ উল্টে আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যের দু’ভাইকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি সামলাতে ভগবানগোলা ও রানিতলা থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি দরকার, অন্তত যত দিন ভোট গণনা শেষ না হচ্ছে।”
ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, “হাসানপুর, ডিহিপাড়া সর্বত্রই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। সর্বত্রই যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। চর দেবীপুরের ঘটনাতেও দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। টাকা পয়সা নিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত ঝগড়া থেকে সে ঘটনা ঘটেছে।’’