বিজেপি করার কারণে ইলামবাজারের মুর্গাবুনি গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় বেশ কিছু পরিবারকে জল নিতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসতেই চালু করে দেওয়া হল জল। ঘটনায় খুশি এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
মুর্গাবুনি এলাকায় প্রায় ২০০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। যার মধ্যে ২৫-৩০ টি পরিবার বিজেপি সমর্থক। অভিযোগ, ভোট মিটতেই ওই সমস্ত বিজেপি পরিবারকে গ্রামে থাকা সাবমার্সিবল পাম্প ও পুকুর থেকে জল না নিতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি সমর্থকেরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। বিজেপি-র জেলা নেতৃত্বের সামনেও বিক্ষোভ দেখান ওই পরিবারগুলির সদস্যেরা। পরে বিজেপি প্রার্থী গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ইলামবাজার থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে।
এর পরেই পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ওই পরিবারগুলিকে জল দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই ওই গ্রামের সাবমার্সিবল পাম্পের এবং পুকুর থেকে জল নিতে কোন রকম বাধা দেওয়া হয়নি। এলাকায় যাতে অশান্তি না-ছড়ায়, তার জন্য দু-তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর পুলিশ ভ্যান টহল দিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাধিকা মুর্মু, মঙ্গল সরেন, বিজন মাড্ডিরা বলেন, “আজ সকাল থেকে জল নিতে বাধা দেওয়া হয়নি আমাদের। আমরা খুশি। তবে পরে তৃণমূলের লোকজন আবার বাধা দেবে কি না, তা বলতে পারছি না।” বিজেপির ইলামবাজার ১ মণ্ডলের সভাপতি সুকদেব বিশ্বাস বলেন, “প্রত্যেকের নিজস্ব গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে, তিনি কোন দল করবেন, কোন দলকে ভোট দেবেন। তা বলে পানীয় জল বন্ধ করে দেওয়া উচিত কাজ হয়নি। এই ঘটনা যাতে পুনরায় না-ঘটে, প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব।”
পাল্টা ইলামবাজার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, “আমি আগে বলেছি, এখনও বলছি, হার নিশ্চিত জেনে বিজেপি নাটক করে চলেছে।” এ দিন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল সব কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “জল নিতে ওই পরিবারগুলি যাতে আর কোনও বাধার মুখে না-হড়ে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।”