• প্রচারের শুরুতে ‘ধোঁয়া’ দেখেছিলেন, শেষ দিনে কী নিয়ে ‘রচনা’ হুগলির তৃণমূল প্রার্থীর?
    আনন্দবাজার | ১৯ মে ২০২৪
  • প্রচারের প্রথম দিন ‘শিল্পের ধোঁয়া’ দেখেছিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বিস্তর। সমাজমাধ্যম জুড়ে ‘মিম’-এর বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তাঁর কেন্দ্রে প্রচারের শেষ দিনে কী দেখলেন তিনি? নিজেই জানালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    হুগলি কেন্দ্রে লোকসভা ভোট আগামী স‌োমবার, ২০ মে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, তার আগে শনিবারই শেষ প্রচার সারতে পারবেন কেন্দ্রের প্রার্থীরা। তাই শনিবার সকাল থেকেই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে বিভিন্ন দল। প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল প্রার্থী রচনাও। শনিবার সকালে পাণ্ডুয়ার বৈঁচি নুনিয়াডাঙ্গা থেকে রোড শো শুরু হয় তৃণমূল প্রার্থীর। বৈঁচি বাজার, আলিপুর, বৈঁচি গ্রাম হয়ে বৈঁচি স্টেশনে এসে শেষ হয় সেই রোড-শো। হুডখোলা গাড়িতে জনসংযোগ করেন তিনি।

    লোকসভার প্রচারের একদম প্রথম দিকে প্রচার করতে সিঙ্গুরে গেলে এলাকার শিল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রচনাকে। তাঁর জবাব ছিল, ‘‘আমি যখন (কলকাতা থেকে) আসছিলাম, তখন দেখলাম চারদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া। চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বার হচ্ছে। কে বলছে শিল্প হয়নি? দিদি তো কত শিল্প করে দিয়েছেন। আরও করবেন।’’ তাঁর এই উক্তি নিয়ে বিস্তর ‘মিম’ ছড়িয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তবে শুধু ধোঁয়া নয়, লোকসভার প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ‘রচনা’ তৈরি করে চর্চায় রয়েছেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর বিবিধ ‘বাণী’ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।

    প্রচারের শুরুতে ‘ধোঁয়া’ দেখেছিলেন রচনা। শেষ দিনে কী দেখলেন? বৈঁচির রোড শো শেষে রচনাকে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল প্রার্থী জানান, শেষ দিনে শুধু মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেলেন তিনি। রচনার কথায়, ‘‘আজকে ধোঁয়ার জায়গা নেই। আমি আজ শুধু মানুষের হাসিমুখ দেখতে পেলাম। যা-ই হোক না কেন, প্রচুর মানুষের ভালবাসা নিয়ে ফেরত যাব।’’ পাশাপাশি রচনা আরও জানান, প্রচারে নেমে মানুষের থেকে ভাল সাড়া পেয়েছেন তিনি।

    উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই বৈঁচিতে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল রচনার। কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারেননি। তা নিয়ে দলের কর্মীদের ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূল প্রার্থী মজার ছলে বলেন, ‘‘আমাকে দু’টুকরো করে দিলে ভাল হয়। তা হলে আমি সব জায়গায় পৌঁছতে পারি। না হলে আমার পক্ষে সব জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। সবাই আশা করে রয়েছেন জানি, কিন্তু কিছু করার নেই আমার। অনেক সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সবার সঙ্গে জনসংযোগ করতে হয়, সেই জন্য অন্য জায়গায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ওই জন্য শনিবার সকালে এখানে প্রচার করলাম।’’ বিকালে রচনা প্রচার করবেন হুগলির চুঁচুড়ায়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)