প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে দু’বার প্রচার করে গিয়েছেন আরামবাগ কেন্দ্রে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দ্বিতীয় বার প্রচারে আসছেন এই কেন্দ্রে। আজ, শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী কামারপুকুরের শ্রীপুর পেনেরপুকুর সংলগ্ন মাঠে সভা করবেন। সভাস্থলের পাশেই তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড।
গত ৮ মে গোঘাট বিধানসভা সংলগ্ন আরামবাগের কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের ১১ দিনের মাথায় প্রচারের শেষ দিনে তাঁকে কেন ছুটে আসতে হচ্ছে গোঘাটে?
দলের নেতাদের বড় অংশের মতে, গোঘাটে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা এখনও অনেকেই ভোটের কাজে নামেননি। তাঁদের কাজে ফেরাতে দলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং শেষে সুব্রত বক্সী আসরে নামলেও বিশেষ কাজ হয়নি। উল্টে গত ৮ মে আরামবাগের মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার সভায় গোঘাটের নেতাদের ডেকেও সারা মেলেনি। এ বার শেষ বেলায় দলের সঙ্গে এবং প্রার্থীর সঙ্গে দূরত্ব হয়ে যাওয়া সেই সব নেতা-কর্মীদের ভোটের কাজে নামতে মুখ্যমন্ত্রী উৎসাহিত করবেন বলেই খবর।
গোঘাটের দাপুটে নেতা ফরিদ খান বলেন, “জোটবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের কথাই বলবেন দিদি। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন এবং অপ্রাপ্তির বিষয়গুলির রূপায়ণের কথাও বলবেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি না মেটায় মানুষ ক্ষোভ আছে। যেমন, ভাবাদিঘির রেলপথের জট, কামারপুকুর এবং গড় মান্দারণকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র, দলকার জলা সংস্কার এবং পশ্চিমপাড়ার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের যোগাযোগে রঙ্গাবতী খালের উপর কংক্রিটের সেতু। স্থানীয় নেতৃত্বের মতে, ভাবাদিঘি ছাড়া বাকি বিষয়গুলির রূপায়ণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিও দিতে পারেন। আর ভাবাদিঘি প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেলপথ যে তাঁরই হাত দিয়ে ছাড়পত্র মিলেছিল তা উল্লেখ করে স্থানীয় বাধা কাটানোর অনুরোধ জানাবেন।
তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা ভোট প্রচারের বেরিয়ে নানা ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কখনও উঠেছে বাড়ি না পাওয়া, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা কেন বাড়ানো হল না, সেই প্রসঙ্গও। দল থেকে বিষয়টি রাজ্য স্তরের নজরে আনা হয়েছে জানিয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা কমিটির এক নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়েও কিছু বলবেন বলেই আশা।”