রঙিন পাখির ছবি তুলতে ভিড় হচ্ছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বাঘআচড়া গ্রামে। বন দফতর সূত্রের খবর, গ্রামের একটি আমবাগানে বাসা করেছে দু’টি ‘ইন্ডিয়ান প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার’। তিনটি ছানাও রয়েছে বাসায়। কলকাতা, দুর্গাপুর, বারুইপুর-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তের পর্যটকেরা আসছেন ছবি তুলতে। পাখির বাসার খুব কাছে চলে যাচ্ছেন অনেকে। পাখিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
পক্ষীবিদেরা জানান, এই ধরনের পাখির দেখে মেলে খুব কম। আফগানিস্থান, উত্তর পাকিস্থান, উত্তর পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে বেশি দেখা যায়। মে-জুনে তারা দক্ষিণবঙ্গে আসে। মূলত নিচু গাছে বাসা করে ডিম পাড়ে। ছানা একটু বড় হলেই উড়ে যায়।
বাঘআচড়া গ্রামে আসা পক্ষীপ্রেমী বারুইপুরের শুভেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জন্মের পরে ইন্ডিয়ান প্যারাডাইস ফ্লাই ক্যাচার প্রজাতির ছেলে ও মেয়ে পাখির গায়ের রং কমলা হয়। বড় হলে ছেলে পাখির গায়ের রং সাদা হয়ে যায়। গলার অংশ হয় নীলচে। তখন এদের দুধরাজ বলা হয়। তাদের লেজও লম্বা হয়। মেয়ে পাখির গায়ের রং কমলাই থেকে যায়। এখানে ছেলে ও মেয়ে দু’ধরনের পাখি দেখা গেছে।’’ আমবাগানের মালিক রাজু ঘোষ জানান, প্রতিদিনই পাখিদের ছবি তোলার ভিড় বাড়ছে। আগে কখনও বাগানে এমন পাখি দেখা যায়নি। এলাকার আম চাষি নারায়ণ দাসের কথায়, ‘‘আমের ফলন কম হলে বাগানে হনুমানের দল আসে না। তখন নতুন পাখি দেখা যায় বাগানে।’’
কাটোয়ার রেঞ্জ আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘বেশ কিছু সুন্দর রঙিন পাখি সম্প্রতি পূর্বস্থলীর বিভিন্ন বাগানে দেখা যাচ্ছে। সেগুলিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে তা দেখতে বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।’’ পূর্বস্থলী সংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি নিরঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছেন, পাখিদের বিরক্ত করছে কিছু লোক। বন দফতর সাহায্য চাইলে তাঁরা পাখিদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসবেন।ওই ব্লকেরই বেলগাছি এবং পলাশপুলিতেও রঙিন পাখি দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।