বিহারে জমিজমা, বাড়ি-সহ পৈতৃক সম্পত্তির করের টাকা দিলে ওই জমি বিক্রির কমিশন এবং লাভের অংশ দেওয়া হবে— এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক জনের কাছ থেকে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম প্রীতম গুপ্ত। বাড়ি বড়তলা থানার রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে প্রীতমকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত, প্রীতমের স্ত্রী পলাতক। রবিবার প্রীতমকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ২১ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠান।
প্রতারিত সুনীলকুমার মান্নার বাড়ি জোড়াসাঁকো থানার মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে। বড়বাজারে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। সুনীলের অভিযোগ, ‘‘টাকা চাইতে গেলে প্রীতম একটি রাজনৈতিক দলের নাম করে বলে, সে সেই দলের নেতা। সেই দল ক্ষমতায় আসছে। টাকা দেব না। যা করার করে নিন।’’ সুনীলের আরও দাবি, ওই দলের সঙ্গে প্রীতমের কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ ওই দলের নাম করে প্রীতম আরও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
সুনীল জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে প্রীতমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। নিজেকে শেয়ার ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিল প্রীতম। তার কথায় বিশ্বাস করে শেয়ারে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লগ্নি করেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘‘২০১৮-তে প্রীতম বলে, বিহারে জমি, বাড়ি-সহ তার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ওই সম্পত্তির কর বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা দিলে কর মিটিয়ে ওই জমিজমা সে বিক্রি করে দেবে। জমি বিক্রির কমিশন এবং লাভের অংশ প্রীতম আমায় দেবে। এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়।’’
অভিযোগ, এর পরে ধাপে ধাপে সুনীল প্রীতমকে ৪১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিলে সে ওই টাকা আত্মসাৎ করে নেয়। ২০২১ সালে প্রীতমের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুনীল। অভিযোগ, বেশ কয়েক বার আইনি নোটিস দিয়ে প্রীতমকে পুলিশ ডেকে পাঠালেও সে আসেনি। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।