সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ন্যাসীদের সঙ্গে রাজনীতির যোগের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলে জারি চাপানউতোর। তারই মাঝে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) আইনি নোটিস পাঠালেন বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। সোমবার সকালে X হ্যান্ডেলে ওই চিঠিটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ওই আইনি নোটিসে কার্তিক মহারাজের তরফে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তিনি অপমানিত। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেন। এই চিঠিটি পোস্ট করেন শুভেন্দু। কার্তিক মহারাজের আইনি নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্তকে সাহসী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সত্য এবং সনাতনীদের সর্বদা জয় হবে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, গত শনিবার এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওইদিন লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে কামারপুকুরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভা থেকে বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সব সাধু সমান হন না। এই যে কার্তিক মহারাজ যিনি বলেন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, তাঁদের আমি সাধু বলে মানি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।” এর পরই নাম করে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ইসকন মন্দিরের রাজনীতি যোগ নিয়ে তোপ দাগেন। এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।
এর পর রবিবার পুরুলিয়ায় নির্বাচনী মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ?নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে, তোষণ করতে তৃণমূল এত নিচুতে নেমেছে! বাংলার লাখ লাখ মানুষের ভক্তি, ভাবাবেগ নিয়ে এরা ভাবে না। স্বামী বিবেকানন্দ, প্রভুপাদ, প্রণবানন্দ মহারাজের অপমান দেশ সহ্য করবে না। যে সরকার বাংলার মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করে না, ভোটে তাদের সাজা দিন। যাতে ওরা আর সাধুদের অপমান করতে না পারে।’’ এই টানাপোড়েনের মাঝে যদিও কার্তিক মহারাজ দাবি করেন, শুধু বিজেপি নয়। তৃণমূলের তরফেও তাঁকে এই নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠালেন তিনি।