ভোটের সকাল থেকেই অশান্তি বনগাঁ লোকসভার একাধিক জায়গায়। নদিয়ার গয়েশপুরের বেদীভবনের কাছে রাস্তার উপরেই বিজেপির গয়েশপুর শহর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত জয়ধরও। আর তার পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে কল্যাণী এআইএমএস হাসপাতালে যান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’।
আক্রান্ত বিজেপি নেতা সুবীরের অভিযোগ, ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছিল ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’ তিনি তার প্রতিবাদ করেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারা ফুঁসে ওঠেন। প্রতিবাদ করায় তাঁদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সুবীর বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের সামনেই মারধর করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, গন্ডগোলের খবর সামনে আসতেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের সকাল থেকেই গয়েশপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। বনগাঁ লোকসভা কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুর আনন্দপল্লিতে বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অশান্তির খবর মিলেছে স্বরূপনগরেও।