• পরিবারের অজান্তেই যুবকের দেহ ময়নাতদন্ত ঘিরে শোরগোল বহরমপুরে...
    আজকাল | ২০ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক : মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থানার ভাকুড়ি-ঠাকুরপাড়া এলাকার এক নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধারের পর তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে না জানিয়েই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বহরমপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। দেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা এবং বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বহরমপুর থানায় উপস্থিত হন। পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরিবারের তরফ থেকে বেশ কিছু সময় বিক্ষোভ দেখান হয় থানার সামনে। পরে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেয় পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম শঙ্কু হালদার(২৫)। অভিযোগ উঠেছে গত ১৫ তারিখ শঙ্কুর পরিবারের সদস্যরা তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর বহরমপুর থানাতে জানালেও বহরমপুর থানার শেষ প্রান্ত, কলাবেরিয়া চৌধুরীপাড়ার চর এলাকায় দেহটি উদ্ধারের পর পুলিশ শঙ্কুর পরিবারের সদস্যদেরকে খবর না দিয়ে দেহটিকে 'অজ্ঞাত পরিচয়' হিসেবে নথিভুক্ত করে ময়নাতদন্ত করে ফেলে। যদিও পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমে শঙ্কুর ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা দেহটি সনাক্ত করে এবং বহরমপুর থানাতে গিয়ে উপস্থিত হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৪ তারিখ রাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল শঙ্কু । কিন্তু মাঝরাতে কখন সে বার হয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা তা বুঝতে পারেনি। এরপর ১৫ তারিখ পরিবারের তরফ থেকে বহরমপুর থানাতে একটি নিখোঁজ ডাইরি করা হয়। শঙ্কুর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে,তিন দিন আগে তাঁর দেহ উদ্ধার হলেও পুলিশ তাঁদেরকে কোনও খবর দেয়নি এবং দেহটিকে 'অজ্ঞাত পরিচয়' হিসেবে নথিভুক্ত করে ময়নাতদন্ত করে দিয়েছে। বহরমপুর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই যুবকের সঙ্গে কান্দি-মহলন্দী এলাকার এক মহিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ওই মহিলা শঙ্কুর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সেই কারণেই ওই যুবক মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে শঙ্কুর নিখোঁজের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে জানান হলেও দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাটি সময়মতো শঙ্কুর পরিবারকে জানানো হয়নি।
  • Link to this news (আজকাল)