'তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবে না, ভোটের আগে দাঙ্গা করিয়ে দেবে, ছেড়ে দেব!', কাকে নিশানা মমতার'
২৪ ঘন্টা | ২০ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধু কার্তিক মহারাজের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে মুখ খুলেছেন কার্তিক মহারাজ। এমনকি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জও করে দিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর চৈতন্য হোক। তিনি বলেছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। উনি প্রমাণ দিন কোথায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা কোথায় গোললমাল করেন তার প্রমাণ দিন। আমি পদত্যাগ করব। এনিয়ে এবার পাল্টা তোপ দাগলেন মমমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বাঁকুড়ার ওন্দার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে যে জায়গায় ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা হয়েছিল সেখানে ওঁর আশ্রম। উনি আশ্রম চালান আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওখানে ইলেকশন এজেন্ট নেই কেন? তখন আমাকে বলা হল, কার্তিক মহারাজ বলে দিয়েছেন তৃণমূলের এজেন্টকে আমরা বসতে দেব না। ওখানে ছানার ব্যবসায়ী কিছু লোককে খেপানো হয়েছে। খবর আমিও রাখি। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলছ আপনি বিজেপি করুন কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? তাই আমি বলেছি, আমি যেটা বলি সেটা বিনা প্রমাণ বলি না। আমাদের রাজ্য বাংলা সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হবে না! ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা করিয়ে দেবে, তাদের আমি ছেড়ে দেব?কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গোঘাটের সভা থেকে মমতা বলেন, সব সাধু তো সমান হয় না। সব সজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরে একজন মহরাজ আছেন, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। আমি আইডেন্টিফাই করেছি কে কে করেছেন। মমতার ওই মন্তব্যর পর এবার এনিয়ে মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজ।অন্যদিকে, এনিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, অধীর চৌধুরী যেটা বলেছেন যে আমি যখন মুর্শিদাবাদে আসি তখন অধীরবাবু বহুবার আমার কাছে এসেছেন। আমিও ওঁর কাছে বহুবার গিয়েছি। এমপি ল্যাড থেকে উনি প্রচুর অর্থ দিয়েছেন। বেলডাঙ্গার বিধায়ক আমাদের টাকা দিয়েছেন। সিপিএমের যখন বিনয় চৌধুরী ছিলেন তখন উনি আমাদের জমি দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে এলেই বেলডাঙ্গায় আসেন। তিনিও অনেক সাহায্য করেছেন। ঔরঙ্গাবাদে আমাদের শোভাযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর আইনজীবী দিয়ে মামলা করে শোভাযাত্রা করার অর্ডার নিয়ে ফিরে যাই। সুতারাং আমি তাঁর প্রশ্ংসা করব না কেন? ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনেও প্রতিবাদ হবে। ভারত সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে বলছি, ইতিমধ্যেই বিশ্বহিন্দু পরিষদ থেকে ফোন করা হয়েছে। আরএসএস, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ থেকে ফোন করেছে। আমি বলেছি আপনারা নিজেদের মতো প্রতিবাদ করুন। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হয় ততই ভালো। তাঁর চৈতন্য হোক। তিনি বলেছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। উনি প্রমাণ দিন কোথায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা কোথায় গোললমাল করেন তার প্রমাণ দিন। আমি পদত্যাগ করব। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি একদমই মিথ্যে ও ভ্রান্ত। তাঁকে আমি চ্য়ালেঞ্জ করছি তিনি প্রমাণ দিন কোথায় কী বলেছি। আমি কার্তিক মহারাজ, আমরা কী ক্ষমতা রয়েছে যে প্রবল প্রভাবশালী তৃণমূলের এজেন্টকে বের করে দেব।