আচমকাই ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাত! প্রাণ বাঁচাতে ছুটলেন ভোটাররা, কেউ দাঁড়িয়ে হাঁটুজলে...
২৪ ঘন্টা | ২০ মে ২০২৪
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: সোমবার দেশ জুড়ে চলছে পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে সাত কেন্দ্রে চলছে ভোট। তবে এরই মাঝে ঝড়ের তান্ডব। আর সেই ঝড়েই লন্ডভন্ড বনগাঁর ভোট কেন্দ্র। শুক্রবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল যে সোমবার ধেয়ে আসবে ঝড়বৃষ্টি। সেই পূর্বাভাসই হল সত্যি, সোমবার ভোটগ্রহণের মাঝেই ধেয়ে এল ঝড় ও বৃষ্টি।
হঠাৎই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বনগাঁর এক ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। ঝড়ের আতঙ্কে বুথ ছাড়লেন ভোটাররা। পঞ্চম দফায় সকাল থেকেই নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছিল বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। হঠাৎই প্রবল জোরে হাওয়া বইতে থাকে । শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বাগদার মশ্যমপুর ভোট কেন্দ্রের আশেপাশের অস্থায়ী ছাউনি ও রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী ক্যাম্প গুলি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রবাল বেগে হাওয়া বইতে থাকে। ঝড়ের দাপটে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে যে যার মত দৌড়ে পালান। কিছু ভোটাররা ভোট কেন্দ্রের মধ্যেই আশ্রয় নেই। পাশাপাশি গাইঘাটার ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের আংরায়েলের ২১৭ নম্বর বুথে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে ভোট গ্রহণ বন্ধও হয়ে যায়।অন্যদিকে হরিণঘাটার বুথেও জমল বৃষ্টির জল। ভোটাররা ভোট দিয়েও ফিরতে পারছে না বাড়ি। বৃষ্টির কারণে আবার অন্যদিকে বুথে আসতে পারছে না ভোটার । বলা চলে ভোটার বুথে নেই বলে ভোট এই মুহূর্তে বন্ধ। এই চিত্র দেখা গেল বনগাঁ লোকসভার হরিণঘাটার ১২ এবং ১৩ নং বুথে।পাশাপাশি দুপুর এগারোটা নাগাদ বনগাঁ ও বাগদা এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি। যার ফলে বিদ্যুৎ হীন হয়ে পরে বাগদা হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা। সেই কারণে বাগদা হাই স্কুলও বিদ্যুৎ হীন হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে স্কুল মাঠে জল জমে যায়। সেই জমা জলের মধ্যে দিয়েই ভোট দিতে ঢুকছেন এলাকার মানুষ। বুথের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ভোট কর্মীরা মোবাইলের ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন। যার ফলে কিছুটা ধীর গতিতে হচ্ছে ভোট গ্রহণ। লম্বা লাইন ভোটারদের। বনগাঁ লোক সভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।