গভীর নিম্নচাপ কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে? দুর্যোগ নিয়ে যা জানাল হাওয়া অফিস
আজ তক | ২১ মে ২০২৪
বঙ্গোপসাগের ঘনাচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। বুধবারই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে তারপরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিম্নচাপের কারণে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইবে দমকা হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর প্রভাবে বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তারপরে এটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হবে গভীর নিম্নচাপে। শুক্রবার সকালে মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কি না, সেদিকে নজর রাখছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি। শুক্রবার বাড়বে বৃষ্টি। ওই দিন পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এর জেরে উত্তাল হবে সমুদ্র। ২৩ মে থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৩ মে'র মধ্যে সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেমন থাকবে তাপমাত্রা?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে রাজ্যে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না।
কলকাতায় কত তাপমাত্রা?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রির কাছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৪ ডিগ্রি কম। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে,যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৫৭ শতাংশ।