• আরবের হারিয়ে যাওয়া রহস্যনগরী কী ভাবে হঠাৎই ভেসে উঠল ২০০০ বছর পরে'
    ২৪ ঘন্টা | ২২ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইতিহাসের মুখের পর্দা সরে গেলেই সেটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার হয়ে ওঠে। যেমন সম্প্রতি হয়েছে আরবের হেগ্রা শহরের ক্ষেত্রে। এ শহরের নাম অনেকেই শুনেছে। ২০০০ বছর আগের বিস্ময়কর একদল মানুষের তৈরি বিস্ময়কর এই শহর যেন পুরাতত্ত্বের খনি। খোদাইকৃত পাথরের অসাধারণ শিল্পকর্ম আর প্রাসাদের জন্য বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক এই শহর এখনকার সৌদি আরবের আল-উলা উপত্যকার মধ্যে পড়েছে।

    কিন্তু এতদিন ওইসব স্থাপত্য দেখার সৌভাগ্য সকলের হত না। সীমিত সংখ্যক মানুষকেই সেখানে ভ্রমণের সুযোগ দিত সৌদি সরকার। তবে ইদানীং সৌদি তেল-অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর সেজন্য তারা এখন যেসব ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে, তার একটি হল পর্যটন। আর সে লক্ষ্যেই এবার সৌদি তার বুকে লুকিয়ে থাকা অসীম রহস্য ও অপার বিস্ময়ের ভাণ্ডার খুলে দিতে চাইছে বিশ্বের সামনে। ফলে বিশ্ববাসী এবার সেসব দেখার ও উপভোগের সুযোগ পাবে।এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিবিড়ভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব। এতদিনের গবেষণায় গবেষকরা সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন আল-উলা উপত্যকার হেগ্রা শহরটির পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখে। অঞ্চলটির প্রাকৃতিক দৃশ্য আর প্রাচীন ঐতিহ্য বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য এটিকে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক মরুদ্যানে পরিণত করা হয়েছে।শহরগুলি একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকবে ২০ কিলোমিটারব্যাপী মনোমুগ্ধকর সবুজ এই মরুদ্যান দিয়ে। সেই মরুদ্যানের পথ ধরে পায়ে হেঁটে, বা সাইকেলে চেপে কিংবা ঘোড়ায় চড়ে শহরগুলির রহস্যময় পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্য ঘুরে দেখা যাবে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত এ অঞ্চল একসময় জমজমাট বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে ১০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে থাকা নবতায়িয়ান সভ্যতার দ্বিতীয় রাজধানী ছিল এই অঞ্চল।নবতায়িয়ানরা ছিল মূলত মরুভূমিতে বসবাসকারী যাযাবর জাতি, পরবর্তীতে তারা এ অঞ্চলে বাণিজ্য প্রসারেও অবদান রাখে। সৌদি আরব ও জর্ডন হয়ে মিশর, সিরিয়া ও মেসোপটেমীয় অঞ্চলে ধূপ ও মশলা বিক্রি করত। সৌদি আরবের একাংশ, ইজরায়েল ও সিরিয়া দখল করে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করার পর-ই ধীরে ধীরে নবতিয় সভ্যতা হারিয়ে যায়।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)