জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার হিরণের আপ্তসহায়ক তমোঘ্ন দের বাড়ি-সহ মোট ৩ জায়গায় হানা দিল পুলিস। গতকাল গভীর রােত তিন বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। কী কারণ ওই তল্লাশি তার পুলিস দিতে পারছে না বলে দাবি হিরণের। এনিয়ে তার সঙ্গে পুলিসের একপ্রস্থ বাকবিতন্ডা হয়।
ওই তল্লাশি নিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, দেখুন পুলিসের গাড়ি দাঁডি়য়ে রয়েছে। ঘাটাল থানার ওসি গাড়িতে বসে আছেন। রাত তিনটে থেকে চলছে। ওঁরা নাকি এখানে পাকিস্তানের টেররিস্ট ধরছে এসেছেন। এমনটা মনে হচ্ছে। পুলিসেও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর পারছে না। নির্দোষ মানুষগুলোকে এভাবে আক্রমণ করতে এসেছে। আর ঘাটালের অভিনেতা সাংসদের পিএর বিরুদ্ধে গুজরাটে সোনাচুরির কেস আছে। পুলিস তাকে অ্যারেস্ট করতে যায়নি। আশাকর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিল। তাকে অ্যারেস্ট করেনি। পিএ রামপদ মান্না সে টাকা নিয়েছিল। তার নামে এফআইআর পর্যন্ত নেয়নি পুলিস। কিন্তু পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ।গতকাল কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে হানা দেয় পুলিস। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিজেপি। 'আগামী ২৫ মে ও ১ জুন ভোটের দিনের প্রভাব পড়বে', হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর অভিযোগ, 'বেশ কয়েকজন আইপ্যাকের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কোলাঘাটের অফিসে ঢুকেছে কোলাঘাটের ওসি সৌরভ চিনা এবং সিআই চম্পক রঞ্জন চৌধুরী। গেটের বাইরে ছোট গাড়িতে করে প্যাকেট রেখেছিল। হয়তো আগ্নেয়াস্ত্র, টাকা বা মাদকদ্রব্য রেখেছিল আমার বাড়ি ঢোকানোর জন্য, আমাকে ফাঁসানোর জন্য'। শুভেন্দুর দাবি, 'নন্দীগ্রামে আমাদের একজন নেতা মেঘনাথ পালকে খোঁজার জন্য যখন আমার অফিসে ওয়ারেন্ট ছাড়া তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিল, তখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুলিসে যখন যা প্রয়োজন হবে, অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ অমান্য করেছে'। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছে। আবার হাইকোর্টে। তা সত্ত্বেও এরা সাহস পায় কোথা থেকে! এই ওসি এবং সিআইয়ের সাসপেন্ড চাই। এবং এসপি যদি দায়ী থাকে এসপির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হওয়া দরকার'।তাঁর আপ্ত সহায়েকের তালবাগিচার বাড়িতে হানা নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী বলেন, কোন অভিযোগ তল্লাশি হচ্ছে তা বলছে না পুলিস। বলছে আপনাকে কেন বলব। তমোঘ্নর মা অসুস্থ, হার্টের পেশেন্ট। মা কান্নাকাটি করছে। মেয়ের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে পুলিস দায়ি থাকবে তো! গোটা পাড়া পুলিসে ছয়লাপ। ওর অপরাধ কি যে ও হিরণের সেক্রাটারি।কেন তল্লাশি? পুলিস সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই সাংসদ দেবের একটি ভাইরাল অডিও মডিউলেশন করা হয়েছে। সেই ব্যাপারেই তথ্য প্রযুক্তি আইনে তথ্য প্রযুক্তি আইনে তমোঘ্ন দেকে জিজ্ঢঞাসবাদ করতে চায় পুলিস।