পিয়ালি মিত্র: টানা ৯ দিন কেটে গেলেও এখনো নিখোঁজ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। তাঁর অন্তর্ধান ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। যে গাড়িতে তিনি উঠে ছিলেন সেটাকে নিউটাউন এলাকায় ট্রেস করা গিয়েছিল। ফলে ব্যারাকপুরের পাশাপাশি তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেটও। বরাহনগরে তাঁর পুরনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ১২ মে সন্ধ্যায় যান । রাতে সেখানে ছিলেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর জন্য বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিখোঁজ।
তদন্ত নেমে পুলিসের হাতে এসেছে কিছু সূত্র। নিউটাউনে যে গাড়িতে আনোয়ারুল উটেছিলে তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসের বিষয়টিও সামনে আসছে। ১৩ তারিখ দুপুরে ডাক্তার দেখাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। গোপালের বাড়ি থেকে একটি দূরে একটি স্কুলের সামনে গোপালের এক পরিচিত তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে দেন। সেই গাড়িতে চালক ছাড়াও একজন ছিল। সেই গাড়িটিকে নিউটাউন এলাকায় ট্রেস করা গিয়েছে। গত ১৩ মে ডাক্রাত দেখানোর জন্য বের হওয়ার পর গোপাল বিশ্বাসের মোবাইলে আনোয়ারুলের একটি মেসেজ আসে। সেখানে জানানো হয় দিল্লি চলে যাচ্ছেন আনোয়ারুল। সেখানে পৌঁছে তিনি যোগাযোগ করবেন। ফোন করার দরকার নেই। এদিকে ১৫ মে আনোয়ারুলের ফোন থেকে আরও এসেটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। সেখানে আনোয়ারুলের দিল্লি পৌঁছনোর কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বলা হয়, তাঁর সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন। ফোন করার দরকার নেই।অন্যদিকে, আনোয়ারুল আজিমের নম্বর থেকে একই মেসেজ যায বাংলাদেশে তাঁর বাড়ির লোকজন এবং ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে। ১৬ মে আনোয়ারুলের নম্বর থেকে তাঁর আপ্ত সহায়ক আবদুর রউফের নম্বরে একটি ফোন আসে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সে ফোনটি ধরতে পারেনি। পরে কলব্যাক করলে আর আনোয়ারুলের ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে একজন আনোয়ারুলকে গাড়িতে তুলে দিতে গিয়েছিলেন। তিনি সে সময় দেখেন, গাডিত চালক ছাড়াও আরও একজন ছিলেন গাড়িতে । ওই ব্যক্তি গাড়ির সামনে বসেন। এমপি পেছনের সিটে বসেন।নিউ টাউনের একটি আবাসনেও ছিলেন আনোয়ারুল আজিম। গোপাল বিশ্বাস বলেন, এনকোয়ারি অফিসার আমাকে কিছু বলেনি। শুধু এটকু বলা হয়েছে যে গাড়িতে আনোয়ারুল আজিম উঠেছিলেন তাঁর গাড়িটি ট্রেস করা গিয়েছে। কে ড্রাইভার ছিল তা জানা গিয়েছে। কিন্তু কোথায় এমপিকে নিয়ে গিয়েছে তা জানা যায়নি। আমাকে বলেছিলেন বিকেলে ফিরে আসব। বিকেলে মেসেজ পাঠান দিল্লি চলে যাচ্ছেন। পরের দিন দিল্লি পৌঁছে ফের মেসেজ পাঠান তিনি দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। পরের দিন ১৭ মে এমপির মেয়ে ফোন করে জানান, বাবার খোঁজ পাচ্ছেন না। তখন থেকেই আমরা খোঁজখবর করছি। খোঁজ না পেয়ে থানায় গিয়েছি।