বিবাহিতার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ আছে— এই সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের মহারাজপুরে। রবিবার রাতে মহারাজপুরের রথতলার বাসিন্দা পাঁচু হালদার (৩২) পাশের পাড়ায় গেলে তাঁকে ধরে, গাছের নীচে তাঁর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঁচু মারা যান। মঙ্গলবার দেহ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘তিন জনকে ধরা হয়েছে। ’’
যাঁর সঙ্গে পাঁচুর ‘সম্পর্ক’ ছিল বলে সন্দেহ, সেই মহিলাকেও তাঁর স্বামী তথা খুনে মূল অভিযুক্ত মারধর করে, অভিযোগ। ওই মহিলা হাসপাতালে। তিনি পাঁচুর সঙ্গে ‘সম্পর্কের’ কথা অস্বীকার করেছেন। পাঁচুর প্রতিবেশী পরিতোষ সরকার দাবি করেন, ‘‘পাঁচুর শরীরে মারধরে কেটে যাওয়া জায়গায় গরম জল, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন দেওয়া হয়েছিল!’’ পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের পরিবার ১২ জনের নামে অভিযোগ করেছে। তাদের মধ্যে নরেশ সরেন, আনন্দ সরকার ও তালু সরেন ধৃত। মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।