দেশে ভোট চলাকালীন প্রথমে অমিত শাহ এবং পরে নরেন্দ্র মোদী কেন কার্যত ‘শেয়ার বাজারের দালালের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তা নিয়ে এ বার রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যদের মঞ্চ ‘দ্য এডুকেশনিস্টস ফোরাম’ এবং ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’ বলে আর একটি সংগঠনের তরফে প্রশ্ন তোলা হল।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, কর্পোরেট প্রশাসন ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষক অখিল স্বামী প্রমুখের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো হবে বলে তাঁরা মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন।
ওই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য অমিত শাহ কোন অধিকারে শেয়ার কেনাবেচা নিয়ে সাধারণ দেশবাসীকে প্রভাবিত করছেন? এটা কি লগ্নিকারীদের আর্থিক লোভ দেখিয়ে বা ভীতি সঞ্চার করে ভোট ব্যবস্থা প্রভাবিত করার ছক?’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গত রবিবার টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ৪ জুনের পরে বিজেপির বিপুল জয়ে শেয়ার বাজারে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। ওমপ্রকাশ এ দিন বলেন, ‘‘মোদীর মন্তব্যটিও আমরা চিঠিতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করছি।’’
ওই চিঠিতে দেশে কালো টাকা, কংগ্রেস এবং অম্বানী-আদানি যোগ নিয়ে মোদীর মন্তব্য বিষয়েও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে আর্জি, দেশের আর্থিক স্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পিএমএলএ বা অর্থ লোপাট প্রতিরোধ আইনে ইডি দিয়ে তদন্ত হোক। কালো টাকার উৎস, পরিবহণ এবং কারা সুবিধাভোগী — সব কিছু প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাতেও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কেন তদন্ত করছে না, তা-ও রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চেয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
ওমপ্রকাশ বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার বা পরামর্শ দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার আছে, তাই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।” কর্পোরেট প্রশাসন ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষক অখিল স্বামী বলেন, “শেয়ার বাজারে রটনার ফাঁদে পড়ে সাধারণত ছোট লগ্নিকারীরাই ঠকে থাকেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে এর তদন্ত জরুরি।”