• 'কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে আমাদের এমপি-কে', দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর!
    ২৪ ঘন্টা | ২২ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউটাউনে উদ্ধার নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংসদের মরদেহ। কলকাতাতেই খুন বাংলাদেশি সাংসদ। আনোয়ারুল আজিমের খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত সরকারী আবদুর রউফ। তিনি দাবি করেছেন, নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে ঝিনাদহ-৪ সাংসদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাঁর বাসভবন ধানমন্ডিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন যে, আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতার নিউটাউনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা আজ নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি খুন হয়েছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুলিস যে তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমরা ৩ জনকে ধরেছি। আরও তদন্ত চলছে। ঝিনাইদহ এলাকা সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। সীমান্ত এলাকা থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমরা এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছি। বাংলাদেশ পুলিস ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিস যৌথভাবে কাজ করছে। ধৃতদের জেরা করে খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিস সবরকম সাহায্য করছে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এসে নিখোঁজ হয়ে যান আনোয়ারুল আজিম। টানা ৯ দিন কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। এরপরই সামনে আসে ঝিনাইদহ-৪-এর সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য। বাংলাদেশি সাংসদের কলকাতায় খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁরা। ২ মে সন্ধ্যায় বরাহনগরে তাঁর পুরনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে যান আনোয়ারুল আজিম। রাতে সেখানে ছিলেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর জন্য বেরন। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। ১৩ তারিখ দুপুরে ডাক্তার দেখাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি স্কুলের সামনে গোপালের এক পরিচিত তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে দেন। সেই গাড়িতে চালক ছাড়াও একজন ছিলেন। যে গাড়িতে তিনি উঠেছিলেন সেটিকে নিউটাউন এলাকায় ট্রেস করা যায়। গাড়িতে থাকা সেই তৃতীয় ব্যক্তি কে, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। 

    ১৩ মে ডাক্তার দেখানোর জন্য বের হওয়ার পর গোপাল বিশ্বাসের মোবাইলে আনোয়ারুলের একটি মেসেজ আসে। সেখানে জানানো হয় দিল্লি চলে যাচ্ছেন আনোয়ারুল। সেখানে পৌঁছে তিনি যোগাযোগ করবেন। ফোন করার দরকার নেই। এরপর ১৫ মে আনোয়ারুলের ফোন থেকে আরও এসেটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। সেখানে আনোয়ারুলের দিল্লি পৌঁছনোর কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বলা হয়, তাঁর সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন। ফোন করার দরকার নেই। এই একই মেসেজ আনোয়ারুল আজিমের নম্বর থেকে বাংলাদেশে তাঁর বাড়ির লোকজন এবং ব্যক্তিগত সহকারীর কাছেও যায়। এরপর ১৬ মে আনোয়ারুলের নম্বর থেকে তাঁর আপ্ত সহায়ক আবদুর রউফের নম্বরে একটি ফোন আসে। কিন্তু সেই ফোন কলটি তিনি ধরতে পারেননি। পরে কলব্যাক করলে আর আনোয়ারুলের ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সাংসদের মেয়ে ডরিন মুমতারিন ফিরদৌস এবং পিএস রউফ আজই কলকাতায় আসছেন। ওদিকে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, "আমরা গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সরকারিভাবে এখনও সাংসদের মৃত্যুর খবর আসেনি। তবে, বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা সত্যি হলে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বহু বাংলাদেশী মানুষ চিকিৎসার কারণে কলকাতায় আসেন। শাসকদলের একজন জনপ্রিয় সাংসদের এইভাবে নিখোঁজ হওয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।"
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)