ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যায়নি, ছাত্রের কোমর ভেঙে দিয়ে শাস্তি! দাবি প্রধানশিক্ষকের গ্রেফতারির
আনন্দবাজার | ২২ মে ২০২৪
এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে প্রধানশিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ হল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। বুধবার এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়। অভিযোগ, বেশ কিছু দিন আগে ভগবানগোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া আলামিন হক স্কুলে ইউনিফর্ম পরে না যাওয়ায় প্রধানশিক্ষক নাজমূল হক তাকে মারধর করে। মারধরে নাকি ওই ছাত্রের কোমর ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থা তার। এ নিয়েই প্রধানশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন ভগবানগোলার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
আলামিনের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, ছাত্রের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রধানশিক্ষক প্রথমে চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো প্রথমে কিছু টাকা দিলেও মাঝপথে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি, ওই ছাত্রকে মারধরের কথাও অস্বীকার করেছেন। এরই প্রতিবাদে প্রধানশিক্ষকের গ্রেফতারির দাবিতে মঙ্গলবার ভগবানগোলা নেতাজি মোড়ে পথ অবরোধ করেন স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক-সহ স্থানীয়েরা। পরে ভগবানগোলা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অবরোধও উঠেছে। তবে ভগবানগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রের পরিবার।
আহত ওই পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বলে, “আমি এক দিন স্কুলের পোশাক না পরে যাওয়ায় হেডস্যর লাঠি দিয়ে খুব মারধর করেন। আমি অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখনও আমি ঠিক মতো হাঁটতে পারছি না। হাঁটাচলা করলেই পায়ে, কোমরে ব্যথা হয়।’’ আহত ছাত্রের বাবা ইসমাইল হক বলেন, “সে দিন আমার মা মারা গিয়েছিল। সেই কারণে ছেলে স্কুলের ড্রেস পরে যেতে পারেনি। তার জন্য স্কুলের প্রধানশিক্ষক নাজমূল হক আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে কোমর ভেঙে দিয়েছেন। প্রথমে চিকিৎসার খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা পূরণ করেননি। এখন মারধরের কথাও অস্বীকার করছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের এমন অমানবিক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণে আমরা প্রধানশিক্ষক নাজমূল হককে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’ বিক্ষোভ এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষও।