নৃশংস! শ্বাসরোধ করে খুন, টুকরো টুকরো করে পাচার দেহ, বাংলাদেশের MP খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য...
২৪ ঘন্টা | ২৩ মে ২০২৪
নান্টু হাজরা, পিয়ালি মিত্র: বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশের(Bangladesh) সাংসদ(MP) খুন নিয়ে উত্তাল কলকাতা-ঢাকা। বুধবার কলকাতায় উদ্ধার হয় বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ এর সাংসদ অনোয়ারুল আজিমের(Anwarul Azim Anar) মৃতদেহ। নিউ টাউনের(New Town Murder Case) এক আবাসন থেকে তাঁর মৃতদের উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন আনোয়ারুলের আপ্তসহায়ক। এই মৃত্যু নিয়ে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য রয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, পরিকল্পনা করে খুনই করা হয়েছে সাংসদকে। ওই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিস(RAB)।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ এমপি খুনের নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিস। ১৩ তারিখ নিউটাউন এর ওই ফ্ল্যাটে প্রথমে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়। এর পর সেই বডি টুকরো টুকরো করা হয়। তিন দিন ধরে সেই বডি পার্ট সারানো হয়।প্রথমে ১৪ তারিখ,১৫ তারিখ ও ১৮ তারিখ। ওই ফ্ল্যাটের ফ্রিজে রাখা হয়েছিল বডি পার্ট।তবে এই বডি পার্ট সারানোর দায়িত্ব যাদের ছিল তাঁদের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিস সূত্রে খবর। সূত্রের খবর তারাই জানে বডি কোথায় ফেলেছে তারা। ওই ফ্লাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৩ তারিখ যে তিনজনের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন সাংসদ, তাদের মধ্যে দুজনকে ১৪ মে সকালে একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেরোতে দেখা যায়। ওই দিন বিকেলের দিকে বেরিয়ে যান আরো একজন, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ছবি। কিন্তু ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা গেলেও সাংসদকে বেরোতে দেখা যায়নি। পারিপার্শ্বিক এই তথ্য প্রমাণ থেকেই পুলিস খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে। পুরো ঘর সম্পূর্ণ ভাবে ক্লিন। যা দেখে তাজ্জব গোয়েন্দারা। আপাতত দৃষ্টিতে বা খালি চোখে কোনও রক্তের বা ধস্তাধস্তির চিহ্ন না মিললেও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পেয়েছেন। বরানগর থানাতে যে মিসিং ডায়েরি হয়, তার উপরই খুনের অভিযোগে দেন একজন অফিসার, তার ভিত্তিতে রুজু হয়েছে খুনের মামলা। সিআইডির অন্ততপক্ষে ৬টিম কাজ করছে। উল্লেখ্য, কলকাতায় এসে গত ৯ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম। শেষবার তিনি ছিলেন বরাহনগরে তার পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। ১২ মে সন্ধ্যায় বরাহনগরে তাঁর পুরনো বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে যান আনোয়ারুল আজিম। রাতে সেখানে ছিলেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর জন্য বেরোন। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। ১৩ তারিখ দুপুরে ডাক্তার দেখাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি স্কুলের সামনে গোপালের এক পরিচিত তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে দেন। সেই গাড়িতে চালক ছাড়াও একজন ছিলেন।প্রসঙ্গত এই ঘটনায় রয়েছে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। সেই শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়াই এবার দেখা গেল বাংলাদেশের সাংসদ খুনে।