সুব্রত বিশ্বাস: অল্প বৃষ্টিতেই আধ হাঁটু জল। সেই জলে দাঁড়িয়েই প্যান্ট গুটিয়ে জুতো ভিজিয়ে রেলের টিকিট কাটতে লম্বা লাইন। টিকিট নিয়ে সেই জল পেরিয়ে ট্রেন ধরা। বেশি বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। তাড়াহুড়োয় ট্রেন ধরতে গিয়ে নাজেহাল দশা হয় যাত্রীদের। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বাড়ছিল যাত্রীদের মধ্যে। বুধবার বৃষ্টি হতেই ফের জল জমে যায় স্টেশনে। যা নিয়ে হাওড়া স্টেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) সাবওয়ের মধ্যে ১১ নম্বর থেকে ২২ নম্বর মোট বারোটি টিকিট কাউন্টার ও এটিভিএম মেশিন রয়েছে। বৃষ্টিতে কাউন্টারের সামনে হাঁটু জল জমে যায়। জল জমে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে যাত্রীরা জলে নেমে টিকিট কাটতে বাধ্য হন। জুতো, প্যান্ট ভিজিয়েই টিকিট কাটতে হয় তাঁদের। স্বাচ্ছন্দ্যের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, সাবওয়েটিতে (Subway) টিকিট কাউন্টার থাকলেও সেটা রেলের আওতায় পড়ে না। দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পুরসভা (Howrah Municipal Corporation)। সাবওয়েটি রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে অভিযোগ রেলের। আর সেই জন্যই নিকাশীর এই বেহাল দশা বলে দাবি তাদের। হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমারের প্রশ্ন, ?পুরসভার আওতায় থাকা সাবওয়ে রেল কেন পরিষ্কার করবে?? তাঁর দাবি, রেল বড়জোর আবেদন করতে পারে নিকাশী সাফাইয়ের জন্য।
পাশাপাশি সাবওয়েটি হকার, দুষ্কৃতী, সবজি বাজারের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ ডিআরএমের। হকারদের ফেলা বর্জ্যে নিকাশীগুলি বন্ধ হয়েছে। ফলে নোংরা জল উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছেন সঞ্জীববাবু। এই সমস্যার কথা জানিয়ে পুরসভার কাছে রেল চিঠি দেবে বলেও জানানিয়েছেন হাওড়ার ডিআরএম। হকারদের জন্য নিকাশী বন্ধ হচ্ছে রেলের এই দাবি নস্যাৎ করেন হাওড়া জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি অরবিন্দ দাস বলেন,?হকাররা নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চলে। তাদের জন্য নিকাশী সমস্যা হয় না।? অরবিন্দবাবুর পালটা অভিযোগ, রেলের জলই পুরসভার এলাকা ভাসায়। রেল, পুরসভার দায় ঠেলাঠেলিতে সমস্যায় যাত্রীরা। কবে সমস্যা মেটবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন যাত্রীরা।