• নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল, রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ পদ্মশিবিরের
    আনন্দবাজার | ২৩ মে ২০২৪
  • নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে সোনাচূড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার ঘটনায় জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীও। এঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটপ্রচারের শেষ লগ্নে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময়ই বাইকে করে আসা এক দল দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, রথিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথিবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ রথিবালা-সহ অন্যদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা রথিবালাকে মৃত বলে জানান। রথিবালার পুত্রের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় জখম আরও প্রায় ৭ জন বিজেপি কর্মীর নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে বলে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা এলাকায়।

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল জানান, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে এই হামলা চালিয়েছে। বুধবারই নন্দীগ্রামে সভা করতে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর যে ভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তা নক্কারজনক। এই হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

    যদিও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি তৃণমূল। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, বিজেপির অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা।

    উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগামী শনিবার সেই লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার ঠিক আগে আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)