'প্রথম থেকেই মিথ্যা কথা বলছে, ঢপের ডক্টর', সৌজন্য অতীত! হিরণকে বেনজির তোপ দেবের...
২৪ ঘন্টা | ২৪ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেটপাড়ায় যুদ্ধ শুরু হিরণ(Hiraan) ও দেবের(Dev)। ঘাটালে(Ghatal) নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু(Suvendu Adhikari) আরও একবার উসকে দিলেন গরু পাচার মামলা। অন্যদিকে হিরণের পিএইচডি ডিগ্রি ভুয়ো, এই অভিযোগ তুলে আপের তরফে দায়ের হয়েছে আরটিআই(RTI)। সারাদিনই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়ছেন হিরণ ও দেব।ভুয়ো পিএইচডির অভিযোগের বিরুদ্ধে হিরণ বলেন, "কোর্টে যাক না, কোর্টে গেলে উত্তর পাবে। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ ইনস্টিটিউট আই আই টি খড়্গপুর। কোন আইআইটি খড়্গপুর ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে কি আপনাকে নেবে? যারা পিএইচডি আর পোস্ট পিএইচডির মানে বোঝে না, যিনি আরটিআইটা করেছিলেন, তার আরটিআইটা আমার কাছে আছে। আইআইটি উত্তর দিয়েছে যে এখানে পিএইচডি রিসার্চার নন উনি। আমি তো আপনাদেরকে গ্রুপেতে পাঠিয়ে দিয়েছি, আইআইটি থেকে আমার যে এনগেজমেন্ট লেটার। যারা শিক্ষিত মানুষ তারা জানে পিএইচডি কাকে বলে, পোস্ট পিএইচডি কাকে বলে। আর যারা বোঝে না তারা এরকম ভাবেই RTI করবে। আর আমি কোথাও লিখিনি যে পিএইচডি ফ্রম আইআইটি খড়গপুর। সব জায়গায় লিখেছি পোস্ট পিএইচটি রিসার্চার অ্যাট আই আই টি খড়গপুর। মানেটা বুঝতে বলবেন। আম আদমি পার্টির যারা করেছেন, তারা পোস্ট পিএইচডি কাকে বলে সেটাই বোঝেনা। একটু জেনে শুনে আর টি আই টা করতে বলবেন'।
বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি লেখা পোস্ট করেন। ডায়েরির পাতায় সেই লেখায় দেখা যায় দেব এবং তাঁর সংস্থার নাম। রয়েছে কিছু টাকার হিসাবও। বিজেপি নেতার দাবি, এনামুল হকের কাছে থেকে নাকি টাকা গিয়েছিল দেবের অ্যাকাউন্টে। সেই পোস্ট শেয়ার করে হিরণ লেখেন, 'বিচার আপনাদের, সিদ্ধান্ত আপনার নিজের'। এরপর এক্স হ্যান্ডেলেই শুভেন্দু ও হিরণকে জবাব দিয়েছেন দেব। দেব একটি পোস্টার শেয়ার করে লেখেন, 'ও শুভেন্দু দা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছো, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে।ভালোবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো।
আর রইলো কথা গরু চুরির টাকা,তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ সেও পিন্টু মন্ডলের থেকে টাকা নিয়েছেন,তাহলে উনিও কি গরু চোর ?শুভেচ্ছা দুজনকেই। আর একটা কথা, আমার ভদ্রতা কিন্তু আমার দুর্বলতা নয়। ও শুভেন্দু দা
তোমার প্রার্থী তো প্রথম থেকেই মিথ্যা কথা বলছে, ঢপের ডক্টর। আর কতো বোকা বানাবে ঘাটালের মানুষকে।' এখানেই শেষ নয় একটি লেজার পোস্ট করে দেব আরেকটি পোস্টে লেখেন, 'সিনেমা জন্য লগ্নি করেছিলেন। সিনেমা রিলিজের পর ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই যে ডক্টর বাবু, আমার Ledger'।দেবের পোস্টের প্রত্যুত্তরে হিরণ লেখেন, "পিন্টু মন্ডলের সাথে কোয়েল মল্লিক, রঞ্জিত মল্লিকও কাজ করেছে। পিন্টু মণ্ডল একজন শো অর্গানাইজার ছিল।... কিন্তু কেউ তার কোম্পানির একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে সিনেমাটা কিন্তু বানায় নি। ওনাকে বলবেন মিথ্যে ব্যাখ্যা করে কোয়েল মল্লিক, প্রসেনজিত, সোহম, জিত.. আপনি কি সবাইকে গরু চোর বলবেন? আমরা সবাই শো এর কাজ করেছি, বহু বছর আগে। আপনার মতো কেউ ওনার কোম্পানি থেকে ৫০ লক্ষ টাকা কোম্পানিতে নিই নি দাদা। এই মিথ্যে বললে বাংলার মানুষ ধরে ফেলবে।" সব মিলিয়ে ভোটের ৪৮ঘণ্টা আগে থেকেই ঘাটাল ঘিরে তরজা তুঙ্গে।