• ঝাড়গ্রামে ৫০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল, বিজেপির বিদায়ী সাংসদের দাবিতে তোলপাড়
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৪
  • রাজদীপ গোস্বামী,ঝাড়গ্রাম: ‘ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কম করে পঞ্চাশ হাজার ভোটে জিতবে।’ বৃহস্পতিবার প্রচারে নেমে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেনের পাশে দাঁড়িয়ে একথা বললেন বিদায়ী বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের নতুন বাস স্ট্যান্ডে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। অলচিকি হরফের স্রষ্টা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর মূর্তিতে মাল্যদান করার পর প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি সহ দলীয় নেতৃত্ব। এদিন বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, আমি দশ-এগারো হাজার ভোটে জিতেছিলাম। তৃণমূল প্রার্থী কম করে ৫০ হাজার ভোটে জিতবেন। কারণ, জঙ্গলমহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে, শিল্পী ভাতা আছে এগুলো সাধারণ মানুষ জীবনে পাননি। এখন দিদির আমলে পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। জেলায় বিশ্ব বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা অলচিকি ভাষায় পড়াশোনা করতে পারছেন। কেন্দ্রীয় সরকার অলচিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু তার প্রচার প্রসারের কোনও ভূমিকা নেয়নি। 


    প্রসঙ্গত, বাম আমলে জঙ্গলমহলজুড়ে খুনের রাজনীতি শুরু হয়। জেলার পর্যটন শিল্প ভেঙে পড়েছিল। এমনকী সাধারণ সরকারি পরিষেবাটুকু পেতেন না সাধারণ মানুষ। সেই সময়ে নেতাই গণহত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর ২০১১ সালে সরকার বদল হয়। একইসঙ্গে বদলে যায় জঙ্গলমহলের পরিবেশ। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে জেলাজুড়ে তৃণমূলের সংগঠন বাড়তে শুরু করে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে বিজেপির উত্থান শুরু হয়। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভালো ফল করে গেরুয়া শিবির। লোকসভায় বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। কিন্তু এরপর বিধানসভা, পুরসভা ও লোকসভা ভোট গো হারা হেরে যায় পদ্মশিবির। এরপর গত ১৯ মে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কুনারবাবুও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। আর তাতেই দিশেহারা বিজেপি।


    ঝাড়গ্রাম ব্লকের লোধাশুলি এলাকার বাসিন্দা আকাশ শিট বলেন, যাকে দেখে গতবার বিজেপিতে ভোট দিয়েছিলাম, সেই দেখি তৃণমূলে চলে গিয়েছে। বিজেপি দলটার উত্থান যে গতিতে হল, পতনও হল একই গতিতে। তার অন্যতম কারণ গোষ্ঠী কোন্দল। ক্ষমতায় না এসেই মারামারি শুরু। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। বিজেপি প্রার্থীই জিতবেন। আমারও জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রচার করেছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)