ভাঙড়ের সভাস্থল ছাপিয়ে রাস্তায় মানুষের উচ্ছ্বাস, উজ্জীবিত তৃণমূল
বর্তমান | ২৪ মে ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজনৈতিক টানাপোড়েনের নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় স্থান করে নিয়েছে খবরের শিরোনামে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে এই বিধানসভার বিভিন্ন জায়গা। এই বিধানসভা এলাকার বিধায়ক ইন্ডিয়াল সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের নৌসাদ সিদ্দিকি। তাঁদের দাবি, ভাঙড় এলাকায় আইএসএফের সংগঠন বেশ শক্তিশালী। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের মাটিতে জনসভায় সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ করা গিয়েছে, তাতে উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। সভাস্থল ছাপিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল মানুষের সমাগমে। যা দেখে জুতো খুলে রেখে হাঁটু গেড়ে বসে ভাঙড়ের মাটিকে প্রমাণ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরপর তিনবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূলের সাংসদ। এমনকী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। শুধুমাত্র ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ভাঙড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন আইএসএফের নৌসাদ সিদ্দিকি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, এখানে আইএসএফের ভালো সংগঠন রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনসভায় যে সমাগম হয়েছে, তাতে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বলে জোড়াফুল শিবিরের নেতৃত্বের দাবি। এদিন ভাঙড়ের ভোজেরহাট ফুটবল মাঠে জনসভা ছিল তৃণমূলের। যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোজেরহাটে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে হাজারে হাজারে মানুষ মিছিল করে সভাস্থলে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, পোস্টার, হোর্ডিং দিয়ে মোড়া ছিল গোটা এলাকা। মহিলা, পুরুষ, ছাত্র, যুব সব বয়সের মানুষ দলবেঁধে শামিল হয়েছিলেন সভাস্থলে। যেখানে সভা হয়েছিল, তা উপচে মূল রাস্তায় জনস্রোত নেমে আসে। সাধারণ মানুষের এই সমর্থনকে পুঁজি করেই অভিষেক আবেদন করেছেন, এবার জয়ের ব্যবধান দেড় লক্ষ করতে হবে। যা শুনে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়াও উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের থেকে। ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা দাবি করেছেন, এদিনের জনপ্লাবন প্রমাণ করে দিয়েছে ভাঙড়জুড়ে এবার শুধুই জোড়াফুল।