• নতুন ভোটার কার দিকে, চর্চা রাজনৈতিক দলগুলিতে, নবীন প্রজন্ম চাইছে শান্তিপূর্ণ ভোট ও কর্মসংস্থান
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নয়া প্রজন্মের ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে প্রতিশ্রুতির ডালি সাজিয়ে প্রচার চালাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে সেই অংশকেই তারা টার্গেট করেছে, যারা এবারই প্রথম গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। এই ভোট কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সিপিএম, তৃণমূল এবং বিজেপি’তে। প্রত্যেকেরই দাবি, তাদের দিকেই ঝুঁকবে নবীন প্রজন্ম। 


    তাঁদের মন জয় করতে প্রতিশ্রুতির ডালি সাজিয়েছে বিজেপি এবং বামেরা। তৃণমূল অবশ্য যুবদের জন্য যেসব সরকারি প্রকল্প চালু রয়েছে, সেগুলিকেই সামনে রেখে প্রচার করছে। রাজনৈতিক দলগুলি যখন তাদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তখন নতুন ভোটারদের নানা দাবি সামনে আসছে। কেউ চাইছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট, কারও দাবি কর্মসংস্থান।


    কী বলছেন নতুন ভোটাররা? বারুইপুর পশ্চিমের বাসিন্দা নিশা থমাস বলেন, চাকরির সুযোগ বাড়ানো জরুরি। আমাদের এলাকায় পানীয় জলের ব্যাপক সমস্যা আছে। ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেই ব্যবস্থা করুক কমিশন। সোনারপুর উত্তরের কলেজ পড়ুয়া দেবাঙ্কুর মণ্ডলের অগ্রাধিকারেও কর্মসংস্থান। তাঁর কথায়, আশপাশে দেখছি অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন না। সবাই যাতে চাকরি পান, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত সরকারের। স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি রাস্তাঘাট ভালো করাও সরকারের কাজ। সোনারপুরের আরেক নয়া ভোটার স্নেহা দত্ত সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ। পানীয় জলও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। নতুন প্রজন্মের আরেক ভোটার বনশ্রী আঢ্যের কথায়, ভোটকে ঘিরে অনেক জায়গায় অশান্তি হয় দেখছি। তা যাতে না হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি। আমার এখানে জলের ব্যাপক সমস্যা রয়েছে। এটা মেটানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর উচিত সরকারের।


    নির্বাচনে প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব দল সেই মতো প্রচার চালাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম নিয়েও আলাদা ভাবনাচিন্তা রয়েছে তাদের। শাসকদলকে প্যাঁচে ফেলতে বিরোধীরা কর্মসংস্থানের ইস্যুতে শান দিচ্ছে। চাকরি নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করছে তারা। নতুন ভোটারদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছে সিপিএম ও বিজেপি’র প্রার্থীরা। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলছেন, আমরা ছাত্র-যুবদের চাকরির দাবি জানিয়ে প্রচার করছি। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিও তোলা হয়েছে। বামেরা ক্ষমতায় এলে স্কলারশিপ বৃদ্ধি করা হবে। অন্যদিকে, বিজেপি’র  অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যাঁরা এবার প্রথম ভোট দেবেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাঁদের চোখ-কান খোলা, দুনিয়ায় কী ঘটছে, সবই দেখতে পাচ্ছেন। তাঁরাও বুঝতে পারছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কেন জেলে রয়েছেন। এই ভোটারদের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী পরিকল্পনার কথা তুলে প্রচার করছে বিজেপি। 
  • Link to this news (বর্তমান)