৫ কোটির বিনিময়ে খুন! সুন্দরীর জালে পড়েই প্রাণ হারালেন বাংলাদেশের সাংসদ!
২৪ ঘন্টা | ২৪ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের(Bangladesh) ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে(MP Anwarul Azim Anar) হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন, পরে টুকরো লাশ গুম করতে আলাদা করা হয় হাড় আর মাংস। কেউ যাতে সন্দেহ করতে না পারে, মাংসে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয় খুনিরা। এ হত্যার ঘটনায় ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া তিনজন পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে আজীম খুনের যা তথ্য জানা যাচ্ছে তা শুনে গা শিউরে উঠবে। তবে কোথায় লাশের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি এর মাঝেই সামনে এল নয়া তথ্য। মধুচক্রে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ।
কলকতায় এমপি আনার খুন হওয়ার পর শাহীনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে এই শিলাস্তি রহমান, যার আরেক নাম সেলে নিস্কি। শুক্রবার শুনানি শেষে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সূত্রের খবর, ১৩ মে কলকাতায় এমপি আনার খুন করার পর ১৫ মে প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন শিলাস্তি। বিমানবন্দর থেকে উঠেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপিকে খুন করে সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে মনোরঞ্জন করেন এই শিলাস্তি ওরফে সেলে নিস্কি। জানা যাচ্ছে যে শিলাস্তিকে দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা আনার ফাঁদ পাততে পারেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। হয়তো ওই হানি ট্র্যাপেই পা দিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন এমপি আনার। এমপি আনার খুনের সময়ে এই শিলাস্তি কলকাতায় শাহীনের ভাড়া ফ্ল্যাটে ছিলেন। তবে যে ফ্লোরে হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেখানে তিনি ছিলেন না বলেই খবর। পরে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এখন পর্যন্ত হত্যায় সরাসরি তার যোগাযোগ মেলেনি।অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে মিঃ আনার একজন মহিলার সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকছেন। তদন্ত ইঙ্গিত করে যে এমপি 'মধু ফাঁদে' পড়েছিলেন। মনে হচ্ছে তিনি মহিলার দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান, যিনি এই খুনের মাস্টারমাইন্ড হতে পারেন এবং শিলাস্তি রহমানের পরিচিত ছিলেন। তিনি আজীমের খুনিদের ৫ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন বলেই খবর।বাংলাদেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, সীমান্তকেন্দ্রিক অবৈধ কারবারের বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বড় অঙ্কের আর্থিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ছক কষা হয়। তবে কে কার কাছে টাকা পাবেন– এটা নিশ্চিত হতে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রটি বলছে, বন্ধু শাহীনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন এমপি আজীম। ওই টাকা দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করছিলেন না তিনি। ওই টাকা গায়েব করে দিতে হত্যার পরিকল্পনা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা নিয়েই শুরু দ্বন্দ্ব। স্বর্ণ কারবারের চালান নিয়ে বিরোধের জেরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তিন মাস আগে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের রাজধানীর গুলশান-২ ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় বসে খুনের পরিকল্পনা সাজায় তারা। শাহীন এমপির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার।