জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকারি স্কুলের প্রাঙ্গনে ১৩ বছরের নাবালিকাকে এক ১৫ বছরের ছেলে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশে এলুরু জেলায়। ইতোমধ্যেই পুলিস অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে। অপ্রাপ্ত্যবয়স্ক অভিযুক্তের পাশাপাশি চার ব্যক্তি ওই মর্মান্তিক ঘটনাটিকে রেকর্ড করে। শুধু তাই নয়, সেই রেকর্ডিং নিয়ে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী নাবালিকার বাবা-মায়ের থেকে ২ লাখ টাকা চায়। সেই টাকা দিতে না পারলে অভিযুক্তরা সেই ভিডিয়োটি প্রচার করে।জানা গিয়েছে, নির্যাতিতি ১৫ মে তাঁর ক্লাস ৭-এর রেজাল্ট নিতে স্কুলে যায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, নির্যাতিতা মার্চ মাসে তাঁর ক্লাস ৭-এর পরীক্ষা শেষ হয়। ১৫ মার্চ মার্কশিট সংগ্রহ করতে স্কুলে যায়। ওই একই স্কুলের ক্লাস ১০-এর ছাত্র এবং চারজন লোক মিলে তাঁকে খালি ক্লাসরুমে টেনে নিয়ে যায়।
স্থানীয় পুলিসের মতে, অভিযুক্ত কিশোর একটি ফাঁকা ক্লাসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। সেই ভয়ংকর ঘটনা ওই ৪ ব্যক্তি মিলে ফোনে রেকর্ড করে। ঘটনাটি ঘটলে গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ ছিল।পরে সেই ধর্ষণের ভিডিয়োটি ব্যবহার করে নির্যাতিতার বাবা-মাকে ২ লাখ টাকা দাবি করে ব্ল্যাকমেইল করে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাদের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা ভিডিয়োটি হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল করে। বুধবার নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযোগ নথিভুক্ত করে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্ত নাবালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে। চার পুরুষের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৫৪ সি, ৩৪১, ৫০৬, ১০৯ ধারা ছাড়াও যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে শিশুর সুরক্ষা (পকসো) আইনের ১৪ এবং ১৫ ধারা ছাড়াও মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুলিস অভিযুক্তকে কিশোর হোমে পাঠায়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত চলছে।অন্যদিকে, গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে পুড়িয়ে খুন! বিচারে চরম সাজা পেল দুই ভাই। তাদের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে। জানা গিয়েছে, মামলার সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, দু'জনকেই পকসো আইনে দোষী সাব্য়স্ত করেছিল আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাদের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের বয়স মোটে ১৪ বছর। মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়ে হঠাৎ-ই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। কবে? গত বছরে অগাস্টে। এরপর যখন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন, তখন ইটভাটার চুল্লির বাইরে ওই নাবালিকার ব্রেসলেট ও চপ্পল পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত কাছেই একটি পুকুরে পাওয়া যায় অর্ধদগ্ধ দেহাংশ।