জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'ইন্টারভিউ চ্যালেঞ্জ' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। নির্বাচনী সভা থেকে মোদীকে উদ্দেশ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন, "আপনি জায়গা বাছুন। আপনার টেলিপ্রম্পটার ও অফিসারদেরও সঙ্গে নিয়ে আসুন। একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হব। সাংবাদিকরা আমাদের যে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান, সেটাই তাঁদের করতে দেওয়া হোক। কারণ লিখে রাখা স্ক্রিপটেড ইন্টারভিউ অনেক হয়েছে।"প্রসঙ্গত, যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে মোদীর দাবি করেছেন যে,'সাংবাদিকদের নিজস্ব পছন্দ আছে। সেই পছন্দের জন্য় তাঁরা পরিচিত। সংবাদমাধ্যম আর নিরপেক্ষ নেই।' তিনি আরও বলেন,'আমি কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। গরিব মানুষের বাড়ি যেতে চাই। চাইলে আমি ফিতে কাটতে এবং আমার ছবি তোলাতে পারি, কিন্তু করি না। ঝাড়খণ্ডে ছোট জেলায় গিয়ে ছোট কোনও প্রকল্পে কাজ করি।' সোশ্য়াল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় হলেও সাংবাদিক বৈঠক করেননি কখনও। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মতে, 'সংবাদমাধ্যমের চরিত্র বদলে গিয়েছে। আগের সেই নিরপেক্ষ সত্ত্বা আর নেই। সাংবাদিকরা এখন নিজেদের মত আর আদর্শ প্রচারে ব্যস্ত। আমি সংসদে জবাব দিই। সাংবাদিকদের নিজস্ব পছন্দ আছে। সেই পছন্দের জন্য় তাঁরা পরিচিত। সংবাদমাধ্যম আর নিরপেক্ষ নেই। আগে সংবাদমাধ্যমে কোনও মুখ ছিল না। কে লিখছে? আদর্শ কী? সেসব নিয়ে কেউ ভাবত না। পরিস্থিতি অবশ্য় এক নেই।' কিন্তু মোদীর এই দাবির পালটা তথ্য উঠে এসেছে সমীক্ষা রিপোর্টে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদীর জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বহুলাংশে খর্ব হয়েছে। কীরকম? রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রবিরোধী বা শাসকদল বিরোধী খবরে অনেক সময়ই কাঁচি চালানো হয়েছে। কাঁচি চালিয়েছে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। রিপোর্টে মোদীকে বিভাজনবাদী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকে গত ১০ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলনও করেননি। এমনকি বিরোধী স্বর শোনা গেলেই সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১ নম্বরে। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অবনমন। তালিকায় ভারতের উপরে রয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এমনকি পাকিস্তানও। শুধু বাংলাদেশ ভারতের পিছনে রয়েছে।