জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেটপাড়ায় যুদ্ধ শুরু হিরণ(Hiraan) ও দেবের(Dev)। ঘাটালে(Ghatal) নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু(Suvendu Adhikari) আরও একবার উসকে দিলেন গরু পাচার মামলা। ডায়েরির পাতায় সেই লেখায় দেখা যায় দেব এবং তাঁর সংস্থার নাম। রয়েছে কিছু টাকার হিসাবও। যা ট্যুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই সৌজন্যতা ছেড়ে সিরিজ অফ পোস্টে আক্রমণ শানান দেব। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব বলেন, হিরণ বাবু কালকে অনেক কথা বলছিলেন আজকে কাদের কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায়। তিনমাস আমি মুখ বন্ধ করে আছি, কিন্তু নোংরামি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কথা বলতে বাধ্য হলাম। ফেক অডিয়ো ভাইরাল, ব্যক্তিগত আক্রমণ - যেভাবেই হোক দেবের ছবি নষ্ট করতে হবে। পিংলায় যে বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে দেবের নির্দেশে সেই দিয়ে শুরু করেছিল প্রচার। কোর্ট এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। দেবের দু-হাতে রক্ত বারবার বলা হয়েছে। ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।
দেব আরও বলেন, তখনও আমি কোনও কথা বলিনি। ফেক ডক্টরের সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরছেন তা ভোটের একদিন আগেই সামনে এল। আমার বিরুদ্ধে যে কেসটা চলেছে সেটাও সামনে এসেছে। তখন মনে হয়েছে এবার জবাব দিতে হবে নইলে মানুষ ভুল বুঝবে। আগামীকাল নির্বাচন তার আগে সমস্ত কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। আজ সামনে এল ভোট কিনতে কোটি কোটি গরু চুরির টাকা কাদের কাছে আছে। পিন্টু মন্ডল আমাকে টাকা দিয়েছেন। সেটা কোথাকার টাকা কী করে জানব? কথা হয়েছিল ছবি প্রফিট করলে সেটা শেয়ার করব। কিন্তু ছবিটা ফ্লপ হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুরো টাকাটা আমি দিয়েছি। তখন ২০১৬, আর গরু চুরির তদন্ত শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। পিন্টু মন্ডল সেই সময় নাম ছিলেন। জানতাম, চেকে দেওয়া মানে হোয়াইট, ক্যাসে দেওয়া মানে ব্ল্যাক। আমি চেকে টাকা নিয়েছি চেকেই টাকা ফেরত দিয়েছি। তবে তদন্তনাধীন সংস্থার ওপর ভরসা আছে। শুভেন্দু অধিকারী যে সেনসিটিফ ডক্যুমেন্ট সামনে এনেছেন তাই এত কথা বলছি। তিন বছর এই মামলার বিষয়ে কোনও কথা বলিনি। ডায়েরিটা আমায় ইডি অফিসে দেখানো হয়েছিল। আর লেজার আমারই জমা দেওয়া।