• এখনও মেলেনি বাবার লাশ, রাজনীতিতে নামতে চান নিহত সাংসদের মেয়ে
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে অবৈধ সোনার কারবারে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ আসনের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। সেই কারবারে কোনও সংঘাত থেকেই নিউটাউনের আবাসনে নৃশংসভাবে খুন হন আনার। এরকম এক পরিস্থিতিতে আনারের মেয়ে বলছেন বাবার খুনির শাস্তি চাই। কেন খুন করা হল তা জানতে চাই। কিন্তু তার পরে যে কথাটা বলছেন তা শুনে এই টাটকা শোকের সময়ে আশ্চর্য হতে হয়।

    আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে ডরিন বলেন, ‘সুযোগ পেলে অবশ্যই রাজনীতি করব, তবে সেটা নিয়ে এখন ভাবছি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন বাবা হত্যার বিচার তিনি করবেন। তিনি আমার পাশে থেকে সব সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি এখন আমার একমাত্র অভিভাবক।  দিল্লি হাইকমিশনসহ সবার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। ওখানকার অনেক বড় বড় কর্মকর্তা আমাকে ফোন দিয়েছেন। তারা নিজেরাই এ বিষয়টা দেখছেন। তারা চেষ্টা করছেন কিছু না কিছু বের করবেন।’শুক্রবার ডরিন আরও বলেন, ‘হত্যার পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই খতিয়ে দেখা যাবে আসলে কী জন্য সে এত বড় অপকর্ম ঘটাল। এর বিচার অবশ্যই হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাবা হত্যার বিচার করেছেন তাহলে আমার বাবা হত্যারও বিচার তিনি অবশ্যই করবেন। বাবা জীবিত থাকতে বুঝি নাই বাবা কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। বাবা হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে দেখেছি বাবাকে মানুষ কতটা ভালোবাসে। যেখানে গিয়েছি সবার ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা একমাত্র বাবার কারণে।’উল্লেখ্য, শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা নিয়েই শুরু দ্বন্দ্ব। স্বর্ণ কারবারের চালান নিয়ে বিরোধের জেরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তিন মাস আগে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের রাজধানীর গুলশান-২ ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় বসে খুনের পরিকল্পনা সাজায় তারা। শাহীন এমপির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার। আনার খুনে উঠে আসছে শিলাস্তি রহমান নামে এক মহিলার নাম। শিলাস্তি শাহীনের বন্ধু। জানা যাচ্ছে যে শিলাস্তিকে দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা আনার ফাঁদ পাততে পারেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। হয়তো ওই হানি ট্র্যাপেই পা দিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন এমপি আনার। এমপি আনার খুনের সময়ে এই শিলাস্তি কলকাতায় শাহীনের ভাড়া ফ্ল্যাটে ছিলেন। তবে যে ফ্লোরে হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেখানে তিনি ছিলেন না বলেই খবর। পরে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এখন পর্যন্ত হত্যায় সরাসরি তার যোগাযোগ মেলেনি। সূত্রের খবর, ১৩ মে কলকাতায় এমপি আনার খুন করার পর ১৫ মে প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ঢাকায় চলে যান শিলাস্তি। বিমানবন্দর থেকে উঠেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপিকে খুন করে সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে মনোরঞ্জন করেন এই শিলাস্তি ওরফে সেলে নিস্কি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)