কতটা ভয়ংকর রিমাল' ঘুম উড়েছে সবার, খোলা হল কন্ট্রোল রুম...
২৪ ঘন্টা | ২৫ মে ২০২৪
দেবব্রত ঘোষ: আগামী রবিবার শহরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এই ঝড় সামাল দিতে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই নিয়ে আগেই হাওড়া সিটি পুলিশ, প্রশাসন এবং সিইএসসি সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। ঝড়কে সামাল দেওয়ার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়লে পুরসভার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার ৬২৯২২৩২৮৭০। ২৪ ঘন্টা এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। এছাড়াও আটটি স্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। পুরসভার আটটি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি থাকবে। পুরসভার ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে যাতে শহরে জল জমে না যায় তার জন্য ১১টি পাম্প হাউস চালানোর সঙ্গে ৬৭টি পাম্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ছয়টি মোবাইল পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই দ্রুত বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন দুর্গত মানুষদের জন্য পানীয় জলের পাউচ এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় রিমালের আগামী ২৬ মে রবিবার ল্যান্ডফল করার কথা। তার আগ আজ ২৪ মে থেকেই রিমালের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড় ও বৃষ্টি। কোস্টগার্ডের তরফে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে দিঘা থেকে হলদিয়া, ৭২ কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ কেমন আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলের ব্লক প্রশাসন, গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সবাইকেই অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। বন্যা উদ্ধার কেন্দ্রগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে। প্রতি বারের মতো ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।প্রসঙ্গত, বর্তমানে অতি গভীর নিম্নচাপের আকারে সিস্টেমটি অত্যন্ত ধীর গতিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করতে করতে ক্রমশ উত্তর - উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়া অভিমুখে এগোচ্ছে সিস্টেমটি। ২৫ মে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে সিস্টেমটি। তখন এর নাম হবে রিমাল। ২৬ তারিখ রবিবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সেই সময় হাওয়ার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৩০ কিলোমিটার। আশঙ্কা রয়েছে, শেষ মুহূর্তে একেবারে স্থলভাগের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য রিকার্ভ বা অভিমুখ পরিবর্তন করতে পারে। সেক্ষেত্রে দিঘা মোহনা সংলগ্ন কাছাকাছি কোনও এলাকায় ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়টির।