রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগের জের, রাজ্যপালের নিশানায় ৩ অফিসার
২৪ ঘন্টা | ২৫ মে ২০২৪
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তের জের। রাজভবনের ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন রাজ্যপাল। ওই তিনজন শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করছেন সিভি আনন্দ বোস। ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল।
তিন অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ক্যাডার কন্ট্রোলিং অথরিটিকে বললেন রাজ্যপাল। কী অভিযোগ রাজ্যপালের? সি ভি আনন্দ বোসের দাবি, ওই ৩ অফিসার শাসকদলের তোষামুদি করছেন যা তাদের কোড অব কনডাক্টের বিরোধী। পাশাপাশি, ওই তিন অফিসার শাসক দলের তোষামুদি করতে গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা সাজানো ঘটনা নিয়ে যা করছেন তা আইন বিরুদ্ধ।রাজ্য়পালের রক্ষাকবচ থাকার পরেও একটি সাজানো ঘটনা নিয়ে যে ভাবে নাড়াচাড়া করা হচ্ছে তাতে রাজ্যপালের ইমেজে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। রাজ্যপাল মনে করছেন যে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকা সত্বেও যে পদ্ধতি পুলিস অবলম্বন করেছে তার ফলে তাদের কড়া শাস্তি যার মধ্যে সাসপেনশন, পদের অবনমন, এমনকি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতন ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে আবার ২ জন অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করে দেখতে পাঠিয়েছেন।উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা মহিলাকে আটকানোর অভিযোগ রয়েছে রাজভবনের ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে। নতুন করে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শুক্রবার রাজভবনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগকারিণী আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৫ ঘন্টা গোপন জবানবন্দি দেন। অভিযোগ, যেদিন শ্লীলতাহানির ঘটনা হয় সেদিন রাজভবন থেকে তাঁকে বেরোতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিসের এফআইআরে নাম রয়েছে এসএস রাজপুত, কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লালের। এরা সকলেই রাজভবনে কর্মরত। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজও হাতে পেয়েছে পুলিস। সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, পুলিসের তলব পেয়ে মঙ্গলবার রাতে রাজভবনের ওই ৩ কর্মী পুলিস হাজিরা দিতে যান। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বয়ানে ওই কর্মীরা পুলিশকে জানান ঘটনার দিন কাঁদতে কাঁদতে ওই মহিলা তাঁদের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু ওই মহিলাকে তাঁরা কোনওভাবেই আটকে রাখেননি । এদিকে রাজভনের কর্মীদের পুলিসে যাওয়া খুব ভালো চোখে দেখছেন না রাজ্যপাল।