হাতের সচিত্র পরিচয়পত্রের সঙ্গে মুখ মিলিয়ে দেখে শনাক্ত করতে হবে। লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে বিজেপি দাবি করল, বোরখা পরে যে মুসলিম মহিলা ভোটাররা বুথে যাবেন, তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হতে হবে কমিশনকে। পদ্মশিবিরের ওই দাবির প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ। তার আগে দিল্লি বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বোরখা পরিহিত মহিলাদের পরিচয় যথাযথ ভাবে যাচাই করে ভোটদানের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘বোরখা বা মুখোশ যা-ই পরা থাক না কেন, পরিচয় যাচাই না করে যেন কাউকে ভোট দিতে না দেওয়া হয়।’’ সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোটের স্বার্থেই তা প্রয়োজন বলে দিল্লি বিজেপির দাবি।
শুক্রবার মিম প্রধান ওয়েইসি এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেন, বেছে বেছে মুসলিম মহিলাদের নিশানা করতেই ওই দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তিনি লেখেন, ‘‘মুসলিম মহিলাদের হয়রানি এবং ভোটদান প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করাই বিজেপির উদ্দেশ্য।’’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোটপর্বের সময় হায়দরাবাদে ওয়েইসির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মাধবীলতার বিরুদ্ধে মহিলা ভোটারদের বোরখা সরিয়ে মুখ দেখার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছিল পুলিশ।