আর কিছু দিন বাদেই ফুরোবে গরমের ছুটি। ১৬ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জঙ্গল। কিন্তু এই শেষ মুহূর্তেও পর্যটকদের দেখা নেই চিলাপাতা, জলদাপাড়া, কোদালবস্তি-সহ উত্তরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বন দফতরের তরফে সম্প্রতি মহাকালে যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জয়ন্তীতেও দেখা মিলছে না পর্যটকদের। যার জেরে, ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের কপালে।
পর্যটক ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, করোনা অতিমারির পরবর্তী সময়ে জঙ্গল খোলার পরেও এই রকম পরিস্থিতি হয়নি। প্রতি বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ার পর-পর এবং বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ হওয়ার আগে পর্যটকদের আগমন হতে শুরু হয় আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী, বক্সা, চিলাপাতা-সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। কিন্তু এ বার সে চেনা ছবি দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা মনে করছেন, মূলত প্রবল গরমের হাত থেকে বাঁচতে এই গ্রীষ্মের ছুটিতে আলিপুরদুয়ারের জঙ্গলের বদলে পাহাড়কেই বেছে নিচ্ছেন পর্যটকেরা। তাঁদের আরও বক্তব্য, কলকাতা, বর্ধমান-সহ তার আশপাশের জেলা থেকেই মূলত পর্যটকেরা আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতা, জলদাপাড়ায় ও অন্যান্য পর্যটনস্থলে আসেন। এ সময়ে সেখানে লোকসভা নির্বাচন চলায় পর্যটকেরাও আসতে পারছেন না। ‘ডুয়ার্স টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সভাপতি পার্থসারথি রায় বলেছেন, ‘‘গরমের ছুটিতে পর্যটক ছিল না জয়ন্তী, বক্সায়। সম্প্রতি পর্যটকদের সংখ্যা অল্প বাড়তেই বন দফতরের তরফে মহাকাল সাফারি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, পর্যটকদের সংখ্যাও কমে গিয়েছে অনেকটাই।’’
ব্যবসা নিয়ে চিন্তায় চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ী গণেশ শাহ। তিনি বলেন, ‘‘করোনা অতিমারির পরেও এ রকম অবস্থা হয়নি। এ বছর গরমের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো একদমই ফাঁকা। হোম স্টে, কটেজে কাজ করা কর্মীদের বেতন কী ভাবে দেব, সে চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে।’’ আর এক ব্যবসায়ী সত্যজিৎ রায়ের কথায়, ‘‘মূলত দক্ষিণবঙ্গে এখন ভোট চলায় পর্যটকের আসছেন না। আর কিছু দিনের মধ্যে জঙ্গলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে পর্যটন ব্যবসার এই অবস্থা থাকলে, চরম ক্ষতি হবে আমাদের।’’