দূষণমুক্ত হয়নি গঙ্গা। বরং ‘জলে গিয়েছে’ কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা হাজার হাজার কোটি টাকা। বিহারে ভোটপর্বের মধ্যে এই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ পটনায় প্রচারে গিয়ে শনিবার বলেন, ‘‘পটনাকে ‘স্মার্ট সিটি’ বানানোর কর্মসূচি আর নমানি গঙ্গে প্রকল্পের তহবিল গঙ্গার জলেই ভেসে গিয়েছে।’’
গঙ্গাকে তিনি দূষণমুক্ত করবেনই। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসে এই শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গঙ্গা দূষণমুক্তির পুরনো প্রকল্পে ধর্মীয় আবেগ জুড়ে নতুন নাম হয় ‘নমামি গঙ্গে’। জলসম্পদ মন্ত্রকের সঙ্গে গঙ্গা পুনরুজ্জীবন নামের দফতরও যোগ করেন। মোট ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অর্ধেকেরও বেশি এখনও পর্যন্ত খরচ হয়ে গিয়েছে। তবে গঙ্গার দূষণ কমেনি বলে বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে।
কয়েক বছর আগে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধীরা সরব হতেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে সেই রিপোর্ট উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সরকার তথা পর্ষদ। জয়রাম শনিবার জানান, পটনা শহর এবং শহরতলির দূষিত, বর্জ্য জল যাতে সরাসরি গঙ্গায় না পড়ে, তার জন্য ১১টি ‘স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ তৈরির ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তৈরি হয়েছে মাত্র চারটি।
কেন্দ্র এবং বিহারের এনডিএ সরকারকে নিশানা করে শনিবার জয়রাম বলেন, ‘‘অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিহার আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ নাকি বরাদ্দ ৩,২৮৮ কোটি টাকার প্রায় সবটাই খরচ করে ফেলেছে! মোদীজি কি বলতে পারবেন, কেন জনগণের টাকা এ ভাবে নয়ছয় করা হল?’’ পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা না দেওয়া এবং পটনার অদূরে বিহতা বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ ২০২১ সালে শেষ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।