Germany-Spain: জার্মানির ঐতিহ্য ও লড়াইকে মাথায় রাখছেন স্পেন কোচ লুই এনরিকে
আজকাল | ২৭ নভেম্বর ২০২২
মুনাল চট্টোপাধ্যায়, দোহা
কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছে স্পেন।
আজ তাদের সামনে জাপানের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে চাপে থাকা জার্মানি। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে জার্মানি যে পয়েন্ট পেতে ঝাঁপাবে, সেটা মাথায় রাখছেন বলেই আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না স্পেন কোচ লুই এনরিকে। আবার জার্মানি ম্যাচের আগে বাড়তি চাপেও নেই। আসলে জীবনের সবচেয়ে কষ্টের দিন দেখেছেন এনরিকে ৯ বছরের মেয়ে সানাকে ‘বোন ক্যান্সারে’ হারিয়ে। সেখান থেকে আবার স্বাভাবিক জীবনে কোচিংয়ে ফেরা সহজ ছিল না এনরিকের পক্ষে। তাঁর সাফ কথা, বড় ব্যবধানে টুর্নামেন্ট শুরু করলে দলে আত্মবিশ্বাস বাড়াটাই স্বাভাবিক। তার মানে এই নয়, আমাদের বাকি দু’ম্যাচের লড়াই সহজ। বরং উল্টো। জার্মানি বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে মরিয়া হবে। ওরা জাপানের কাছে হারলেও খারাপ দল নয়। বরং ভুললে চলবে না ওরা চার বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। ওদের জার্সিতে চারটি তারা আছে। তাই ওদের গুরুত্ব না দেওয়াটা বোকামি। কে বলতে পারে, আমাদের বিরুদ্ধে ওরা বাড়তি জ্বলে উঠবে না? তাই আমাদের আগাগোড়া সতর্ক থাকতে হবে যাতে প্রথম ম্যাচে বেশি গোলে জেতার সুবিধা হাতছাড়া না হয়। জার্মানি ম্যাচকে শেষ ১৬য় পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হিসেবেই দেখছি। না জিতলে আমাদের জাপান ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নকআউটে যেতে।’ এনরিকে তাঁর দল নিয়ে উচ্ছ্বসিত। জানালেন, ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একসঙ্গে অনেক ফুটবলার চলে যাওয়ায়, স্পেনের আধিপত্যে ভাটা পড়েছিল। বর্তমান দলটা সে তুলনায় এখন আবার নতুন করে তৈরি বড় কিছু প্রাপ্তির জন্য। চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে, তবে ক্ষমতা রাখে। এনরিকের মুখে এদিনও ছিল গাভির ভূয়সী প্রশংসা। বলেন, ‘ গাভি প্রচন্ড প্রতিভাবান। অল্পবয়সেই নিজের দক্ষতার ছাপ রাখছে। ভবিষ্যতের তারকা।’ স্পেনের দানি ওলমোর মতে, ‘জার্মান দলে বায়ার্ন মিউনিখের একঝাঁক তারকা আছে। ওরা নিজেদের সম্মানের কথা ভেবেই সেরা দেবে। একটা উপভোগ্য ম্যাচ হবে।’
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচের গ্লানি ঝেড়ে ফেলে স্পেনের মোকাবিলায় প্রস্তুত জার্মানি। এদিন জার্মানির অনুশীলনে চনমনে ভাবটা তাই বলছে। জার্মান কোচ হানসি ফ্লিকের তত্ত্বাবধানে হাসি ঠাট্টার মাঝেই স্পেন ম্যাচের কৌশল ঝালিয়েছেন ফুটবলাররা। টমাস মুলারকে দেখা যায় জোসুয়া কিমিচকে পিঠে নিয়ে ঘুরছেন। এমন হাল্কামেজাজের টুকরো টুকরো ছবি উঠে এসেছে জার্মান শিবিরে। সম্ভবত চাপ কাটানোর কৌশল এটাই। কোচ ফ্লিক তো প্রচারমাধ্যমের নানা প্রশ্নে বলেই দিলেন, জাপান ম্যাচ এখন অতীত। সামনের স্পেন ম্যাচটা ফাইনাল। বিশ্বকাপে থাকতে হলে ভাল খেললেই শুধু হবে না জিততে হবে। দলে কয়েকটা বদল আনতে পারেন বিশেষ করে রক্ষণে স্পেনের বৈচিত্রপূর্ণ আক্রমণ সামলাতে।