• গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে' স্ত্রীর পেট কেটে দেখার চেষ্টা স্বামীর!
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে? তা দেখার জন্য স্ত্রীর পেটটাই কেটে ফেলে স্বামী! হাড়হিম করে দেওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বদায়ুঁ সিভিল লাইনের বাসিন্দা পান্না লাল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা। ২২ বছরের সংসার। দম্পতির পাঁচ কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে পুত্রসন্তানের জন্য পান্না লাল তাঁর স্ত্রীকে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়া জন্য স্ত্রীকে ক্রমাগত চাপ দিত পান্না লাল। অনিতার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তারা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযুক্ত স্বামী পান্না লাল পুত্রসন্তান দিতে না পারলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পুত্রসন্তানের জন্য ফের বিয়ে করবেন বলেও হুমকি দিত।এই পরিস্থিতিতেই ফের গর্ভবতী হয়ে পড়ে অনিতা। তখন ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে স্বামী পান্না লাল। কিন্তু রাজি হয়নি অনিতা। এরপরই ভয়ংকর কাণ্ডটি ঘটিয়ে বসে পান্না লাল। ঘটনার দিন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে ঝগড়ার সময় পান্না লাল স্ত্রীর পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখার হুমকি দেয়। বিপদ বুঝে পালানোর চেষ্টাও করে অনিতা। কিন্তু অভিযুক্ত স্বামী পান্না লাল তাঁকে ধরে ফেলে। এরপরই সে কাঁচি দিয়ে স্ত্রী অনিতার পেট কেটে দেয়। অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে— তা দেখতেই এই কাণ্ড ঘটায় সে।সেই সময় অনিতা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী পান্না লাল কাঁচি দিয়ে এমনভাবে পেট কেটে দেয় যে, অনিতার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে ঝুলতে থাকে। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যায় অনিতা। তবে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানটি মারা যায়। শেষে এটাও জানা যায় যে, ষষ্ঠবারে অনিতার গর্ভস্থ সন্তানটি ছিল পুত্রসন্তান। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)