উড়িয়ে নিয়ে যাবে রিমাল' আশঙ্কায় কষে বাধা লঞ্চ! ফেরি সার্ভিস বন্ধ ৩ দিন...
২৪ ঘন্টা | ২৫ মে ২০২৪
বিধান সরকার: কতটা ভয়ংকর হবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল? আশঙ্কায় আতঙ্কে প্রমাদ গুনছে সবাই। মোকাবেলায় তৎপর হুগলি জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া ফেরি সার্ভিস। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় চলছে জোরদার মাইকে প্রচার। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সংযোগস্থলে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রিমালের প্রভাব আগামীকাল দুপুরের পর থেকে দেখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ঝড়ের যে গতি প্রকৃতি রয়েছে তাতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে শুরু করেছে।আগামীকাল মাঝ রাতে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। সেই মতো প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে সতর্কীকরণ।হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইক প্রচার। বাঁধের পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া জন্য আবেদন করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। মাঝি যারা নৌকা নিয়ে গঙ্গায় মাছ ধরতে যান, তাদেরকেও গঙ্গায় মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আজ ২৫ মে থেকে ২৭ মে অবধি তিন দিন জেলার সমস্ত ঘাটে বন্ধ ফেরি চলাচল। সেই মত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্ন থেকে। এদিন সকালে দেখা যায় চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, গুপ্তিপাড়া সহ বিভিন্ন ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেরিঘাটগুলির কাউন্টারে। তবে বহু যাত্রীর কাছে ফেরিঘাট বন্ধের খবর না থাকায় ঘাটে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। ঘুরপথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইয়াস ও আমফানের সময় প্রশাসন মানুষের পাশে থেকেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রিমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে উপকূল ও সুন্দরবন এলাকায় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে এই নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। গঙ্গা এবং বিভিন্ন নদীপথে লঞ্চ ভেসেল পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।