• ফাইনালের আগে শ্রেয়স-কামিন্সের চিন্তা পিচ, শিশির ফ্যাক্টরও ভাবাচ্ছে দুই অধিনায়ককে...
    আজকাল | ২৬ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই হ্যাটট্রিকের হাতছানি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। প্রথম লক্ষ্য, চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তৃতীয়বার হারানো। দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ট্রফির হ্যাটট্রিক। রবিবার চিদম্বরম স্টেডিয়ামে জিতলেই তৃতীয়বার আইপিএল জিতবে নাইটরা। তিনবারই গৌতম গম্ভীরের উপস্থিতিতে। দু'বার অধিনায়ক, একবার মেন্টর হিসেবে। কিন্তু ফাইনালের আগে বেশ কয়েকটা ফ্যাক্টর ভাবাচ্ছে দুই অধিনায়ককে। সাধারণত যেকোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় দুই দলের অধিনায়ক। কিন্তু শনিবার বিকেলে একইসঙ্গে পাশাপাশি বসে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন শ্রেয়স আইয়ার এবং প্যাট কামিন্স। তাঁদের কথাবার্তায় বোঝা গেল, কয়েকটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চিন্তিত দু'জনেই। মেগা ফাইনালে টস বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। টসে জিতলে কী করবেন প্রশ্ন ছিল দুই অধিনায়কের কাছে। চলতি আইপিএলে সাধারণত প্রথমে ব্যাট করেই সফল হায়দরাবাদ। কিন্তু হাই-ভোল্টেজ ফাইনালের আগে নিজের ভাবনার খোলসা করলেন না সানরাইজার্সের নেতা। কামিন্স বলেন, 'ম্যাচের দিন পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমরা টস নিয়ে বিশেষ ভাবছি না। অবশ্যই মেগা ফাইনালে বোর্ডে রান থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত লাগে। তবে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।' টস নিয়ে বিশেষ মন্তব্যে করেননি শ্রেয়স।‌ চলতি আইপিএলে তিনি খুব কম টসে জিতেছেন। তাই এদিন মশকরা করে বলেন, 'প্যাটের এই উত্তরটা আমার কাজে লাগবে। টসে জিতলে কী করবে তার কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম।' এটা বলেই হেসে ফেলেন কেকেআরের অধিনায়ক। তবে পিচ এবং শিশির নিয়ে খুবই চিন্তিত দুই নেতা। চেন্নাইয়ের উইকেট অন্যান্য স্টেডিয়ামের থেকে আলাদা। বরাবরই মন্থর পিচ। স্পিনাররা সাহায্য পায়। আগের দিন সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। অন্যদিকে কেকেআরে সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তীর মতো স্পিনার আছে। দু'জনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন নাইটদের অধিনায়ক। শ্রেয়স বলেন, 'উইকেট দেখে সম্পূর্ণ আলাদা মনে হল। গতকাল যে উইকেটে খেলা হয়েছিল, সেই পিচে ফাইনাল হবে না। আজকের উইকেট লাল মাটির। আগের দিন কালো মাটিতে খেলা হয়েছিল। তাই বুঝতে পারছি না উইকেট কী চরিত্র নেবে। আমাদের সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ওরা আমাদের দলের প্রধান উইকেট শিকারী। মাঝের ওভারে ওরা রানরেট কন্ট্রোল করে। একইসঙ্গে উইকেট তুলে নেয়। ওরা প্ল্যানমাফিক খেলতে পারলে আমাদের সুযোগ থাকবে।' অন্যদিকে পিচ যাই হোক না কেন, আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলার ইঙ্গিত দেন সানরাইজার্সের নেতা। কামিন্স বলেন, 'জানি না উইকেট কী চরিত্র নেবে। পিচ বদলে গেলে সেই অনুযায়ী দল সাজাব। তাই আগে থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়। অনেক সময় ১৬০-১৭০ ও ম্যাচ উইনিং স্কোর হয়। তবে আমরা আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসি। এটাই আমাদের শক্তি। তাই সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।' চিপকে সাধারণত শিশির পড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ছিল। শিশির ছিল না। বরং উইকেট থেকে টার্ন পায় স্পিনাররা। শিশির প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, 'প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। শিশির পড়ার থাকলে পড়বে। তারমধ্যেও আমাদের ভাল খেলার চেষ্টা করতে হবে। যেটা আমাদের হাতে নেই, সেই নিয়ে ভেবে লাভ নেই। তবে শিশির পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আগের দিনও তাই মনে হয়েছিল। কিন্তু বল স্পিন করতে শুরু করে। তবে আমি বা প্যাট যাই সিদ্ধান্ত নিই না কেন, আশা করব সেটা আমাদের পক্ষেই যাবে।' এই প্রসঙ্গে কামিন্স। বলেন, 'ম্যাচের আগের দিন শিশির পড়েছিল। কিন্তু ম্যাচের দিন পড়েনি। রবিবার কী হবে জানি না।' চলতি আইপিএলে দু'বার সানরাইজার্সকে হারিয়েছে কেকেআর।তবে পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও নিজেদের ফেভারিট মানছেন না শ্রেয়স। জানান, নির্দিষ্ট দিনে তাঁদের দক্ষতা এবং মাইন্ডসেটের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে। 
  • Link to this news (আজকাল)