• এক মিটার জলোচ্ছ্বাস হবে সমুদ্রে! শহরাঞ্চলেও ১২০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস?
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবার বিকেল বা সন্ধ্যার পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। মাঝ-রাত থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝেড়ো হাওয়া। সোমবারে ও অতিভারী বৃষ্টি সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন।'রিমাল' - 'রিমাল' করে সাড়া পড়ে গিয়েছে।

    কিন্তু কী হবে কলকাতায়? 

    আজ কলকাতায় সকাল থেকেই অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছিল। চড়া রোদ, দমচাপা গরমের কষ্ট ছিল। পাশাপাশি আবার আংশিক মেঘলাও ছিল আকাশ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ছিল যথেষ্ট বেশি। এজন্যই আরও বেড়েছে গরমের অস্বস্তি। তবে জানা গিয়েছে, এরর বদল ঘটবে। ঘটতে শুরুও করেছে। সন্ধ্যার পরে আবহাওয়ার পরিবর্তন। মাঝরাত থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। রবিবার দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। সোমবারেও অতিভারী বৃষ্টি সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানা গিয়েছে।পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। পরে এটি উত্তর অভিমুখে এসে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। রবিবার মাঝরাতে ল্যান্ডফলের সময় এর গতিবেগ থাকবে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।এর ফলে আজ শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে। যা ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় শুরুও হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে রবিবার এবং সোমবারও। বিপুল বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।

    ওদিকে সোমবার এবং মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবার থেকে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।শুধু বৃষ্টি নয়, ঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে এই ক'দিন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়ায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে।রিমাল ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, গাছ উপড়ে পড়তে পারে, হর্টিকালচার উদ্ভিদের বিশেষ ক্ষতি হবে, বড় রকমের ক্ষতি হতে পারে কাঁচাবাঁধগুলিরও। সবচেয়ে যা চিন্তার, তা হল, জানা গিয়েছে, এক মিটার জলোচ্ছ্বাস হবে সমুদ্রে। যার জেরে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে অনেক এলাকায়। যার জেরে ক্ষতি হবে চাষের জমিরও।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)