মিল্টন সেন, হুগলি: বাগানের পর বাগান গাছ ভরে রয়েছে লিচু। সম্প্রতি পাকা লিচু পাড়ার কাজও শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে শ্রমিকের অভাব। তাই ধীরে সুস্থে চলছিল লিচু পাড়ার কাজ। এখনও অধিকাংশ গাছেই লিচু পেকে রয়ে গেছে। তার মধ্যেই জেলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরার সতর্কবার্তা। রীতিমতো আতঙ্কিত জেলার লিচু চাষীরা। তার প্রথম কারণ এ বছর হুগলিতে আমের ফলন খুব একটা হয়নি। তবু লিচুর ব্যাপক ফলন কৃষকদের কিছুটা হলেও আশা দেখিয়েছিল। এখনও বাগানগুলিতে গাছ ভর্তি হয়ে পাকা লিচু ঝুলছে। লিচু পাড়ার কাজ শুরু হলেও শেষ করে ওঠা সম্ভব হয়নি। কারণ হাঁসফাঁসানি গরমে গাছ থেকে লিচু পাড়ার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লিচু পাড়ার দায়িত্ত্ব সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম অবস্থা বাগান মালিকদের। তাই, পেকে গেলেও বর্তমানে, অধিকাংশ লিচুই রয়ে গেছে গাছে। তার উপর ঝড়ের সতর্কবার্তা বাগান মালিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ বাস্তবে এই ঝড় বাগান মালিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। তাই শুরু হয়েছে লিচু পাড়ার তোড়জোড়। চাষিরা জানাচ্ছেন এ বছর এমনিতেই আমের ফলন কম। গাছে লিচু রয়েছে, সব পেরে ফেলা সম্ভব হয়নি। আপাতত যে ঝড়ের পূর্বাভাস মিলেছে, তাতে গাছে আর কোনও কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই খুব তাড়াতাড়ি অবশিষ্ট লিচু পেরে ফেলার ব্যাবস্থা করবেন। লিচু ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এবছর লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু ঝড়ের জন্য সব পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। গাছে লিচু প্রতিপালন করতে সার সহ অন্যান্য জিনিসে প্রচুর খরচ হয়ে গেছে। কোনও ভাবে আগে চাষের খরচ তুলতে হবে। তাই যে ভাবেই হোক লিচু পেরে বাজারজাত করতে হবে, নাহলে বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।