• গম্ভীরের ছায়ায় কি ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন শ্রেয়স' কী বললেন কেকেআরের নেতা'...
    আজকাল | ২৬ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত চার বছরে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্ব দেওয়া দল দু'বার আইপিএল ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু তাসত্ত্বেও অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যাবতীয় স্পটলাইট গৌতম গম্ভীরের দিকে। ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটলসকে ফাইনালে তোলেন শ্রেয়স।‌ এবার কেকেআর আইপিএল ফাইনালে। রবিবার চেন্নাইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি নাইটরা। গম্ভীরের ছায়ায় কোথাও কি ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন শ্রেয়স? নাইটদের এই সাফল্যের জন্য যতটা কৃতিত্ব প্রাপ্য, সেটা কি পাচ্ছেন? কোনও রাখঢাক করলেন না কেকেআরের অধিনায়ক। শ্রেয়স বলেন, 'গম্ভীরকে নিয়ে এই মাতামাতি তোমরাই (মিডিয়া) তৈরি করেছ। অধিনায়ক হিসেবে আমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছি সেটা তোমরাই বিচার করো।' এর থেকেই স্পষ্ট, প্রাপ্য প্রচার, সমান, স্বীকৃতি না পাওয়ার একটা ক্ষোভ কোথাও লুকিয়ে আছে। তবে এটা বলা মাত্র অবশ্য কেকেআরের মেন্টরের ম্যাচ রিডিংয়ের প্রশংসা করেন। শ্রেয়স বলেন, 'গৌতম ভাই সম্পর্কে বলব, আইপিএল সম্বন্ধে প্রচুর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেকেআরের হয়ে আগে দু'বার ট্রফি জিতেছেন। ওনার স্ট্র্যাটেজি খুবই কার্যকরী। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী ট্যাকটিক্স সেট করার বিষয়ে পাকাপোক্ত। আশা করছি আমরা একই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারব।' শেষ ছয় মাস অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি খোয়ান। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে খেলেন। টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি। চলতি আইপিএলে খুব বেশি নজর কাড়তে পারেননি। মাত্র দুটো অর্ধশতরান করেন। পিঠের চোটের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ তিনটে টেস্টে খেলেননি। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এরপরই বিতর্কে জড়ান। তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। যা এখনও ভুলতে পারেননি শ্রেয়স।‌ আইপিএল ফাইনালের আগে তাঁর কথাতেই যা স্পষ্ট। শ্রেয়স বলেন, 'বিশ্বকাপের পর টেস্টে আমি নাকানিচোবানি খাচ্ছিলাম। আমি যখন নিজের অবস্থার কথা জানাই, কেউ মানতে চাইছিল না। আমার লড়াইটা শুধু নিজের সঙ্গেই ছিল। আইপিএলের আগে আমি নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। ব্যাটার হিসেবে লাল বলের ক্রিকেট থেকে সাদা বলে ফেরা সহজ নয়। বোলারদেরও সমস্যা হয়। প্রথমে একটু অসুবিধা হয়। তবে মানিয়ে নিলে পরে কোনও সমস্যা থাকে না।' ফেব্রুয়ারি-মার্চে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যান শ্রেয়স।‌ মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ফাইনাল খেলার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। এই প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, 'আমরা ফাইনাল জিতি। আমি দলের অঙ্গ ছিলাম, এবং জয়ে অবদানও রেখেছিলাম। তারপর আমি আর ভারতীয় দলে নির্বাচিত হওয়া নিয়ে ভাবিনি। আমি আইপিএলে নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম।' আপাতত অতীত ভুলে আইপিএল জয়ই লক্ষ্য শ্রেয়সের।‌ 
  • Link to this news (আজকাল)