• স্টার্ক-হরষিতদের কাছে আত্মসমর্পণ হায়দরাবাদের, আইপিএলের ফাইনালে সর্বনিম্ন রান...
    আজকাল | ২৭ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএল ফাইনালে সর্বনিম্ন রান। পুরো ওভার ব্যাট করতে পারলেন না প্যাট কামিন্সরা। ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত শাহরুখ খানের পরিবার। তৃতীয় আইপিএল ট্রফির গন্ধ পেতে শুরু করেছেন ততক্ষণে। আইপিএল ফাইনালে সেরা পারফরমেন্সের মধ্যে অন্যতম। দুর্ধর্ষ বোলিং। কোয়ালিফায়ারে সেরা পারফরম্যান্স ছিল কেকেআরের বোলারদের। এদিন নিজেদের ছাপিয়ে যায় নাইট বোলাররা। ৭৭ রানে ৭ উইকেট। জঘন্য ব্যাটিং হায়দরাবাদের। যে ব্যাটিংয়ের জোরে এই জায়গায় এসেছে অরেঞ্জ আর্মিরা, এদিন সেই ব্যাটিংই ডোবাল। ফাইনালে পরিকল্পনাহীন ব্যাটিং। বাজে শট বাছাই। বিশেষ করে আইডেন মার্করাম, শাহবাজ আহমেদ, আব্দুল সামাদের।‌ টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরল। আগের দিন চেন্নাইয়ে স্পিনারদের দাপট দেখা গিয়েছিল। এদিন পিচ বদলেছে। লাল মাটিতে পেসারদের আক্রমণেই কুপোকাত সানরাইজার্সের ব্যাটাররা।‌ এই হায়দরাবাদই চলতি আইপিএলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করে। কিন্তু আইপিএল ফাইনালে কেকেআরের বোলারদের সামনে ল্যাজেগোবরে।আগের কোয়ালিফায়ারে আগুন ঝড়িয়েছিলেন‌ মিচেল স্টার্ক। এদিনও শুরুটা দারুণ করেন। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন অভিষেককে। আইপিএলের সেরা বল স্টার্কের। ভেঙে দেন সানরাইজার্স ওপেনারের অফস্ট্যাম্প। মাত্র ২ রানে ফেরেন অভিষেক। আবার প্রথম বলেই শূন্যতে আউট ট্রাভিস হেড। শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটে শূন্য অজি ওপেনারের। আইপিএলের প্রথমদিকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। কিন্তু প্লে অফে, অর্থাৎ টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ডে টোটাল ফ্লপ। মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারায় সানরাইজার্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পরও ত্রিপাঠি,‌ ক্লাসেনরা দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান পান প্রোটিয়া ব্যাটার। কিন্তু এদিন ব্যর্থ। ১৬ রানে আউট হন। কোনও ব্যাটারই‌‌ দাঁড়াতে পারেনি। এলেন এবং গেলেন। এককথায়, আত্মসমর্পণ। উইকেটে কি জুজু ছিল? একেবারেই না। কিছুটা কেকেআরের বোলারদের কামাল, বাকিটা হায়দরাবাদের উইকেট ছুড়ে দেওয়া। প্রতিটা উইকেট উপভোগ করলেন শাহরুখ খান। চারদিন আগে হাসপাতাল ঘুরে এসেছেন। তাই গোটা ম্যাচেই মুখে মাস্ক পরে দেখা যায় কিং খানকে। ছিলেন গৌরি, সুহানা, আরিয়ান, আব্রামও। ভিআইপি গ্যালারিতে চাঁদের হাট। কেকেআরের আরেক মালিক জুহি চাওলা সপরিবারে হাজির। ছিলেন রাজকুমার যাদব, জানভী কাপুরও। নাইটদের হয়ে গোল ফাটালেন বলিউডের তারকারা। এদিন কোনও ব্যাটারই‌ সফল হয়নি। রাহুল ত্রিপাঠি (৯), নীতিশ কুমার রেড্ডি (১৩), শাহবাজ আহমেদ (৮), আব্দুল সামাদ (৪) রান পায়নি। ক্লাসেনের সঙ্গে টিকে থাকা উচিত ছিল মার্করামের। খারাপ খেলছিলেন না। কিন্তু ১১ ওভারের মাথায় বড় শট খেলতে গিয়ে স্টার্কের হাতে ধরা পড়েন। তখনও ৯ ওভার বাকি। পার্টনারশিপ দরকার ছিল। পরে কোনও অভিজ্ঞ ব্যাটার ছিল না। এই অবস্থায় মার্করামের মতো প্লেয়ারের দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল। অন্তত ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত মার্করাম, ক্লাসেনের উইকেটে টিকে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু নিজের উইকেট ছুড়ে দেন প্রোটিয়া ব্যাটার। শাহবাজও বাজে শট খেলে আউট হন। আবদুল সামাদকে নামানো হয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কেন বছরের পর বছর তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছে জানা নেই। কেনই বা সামাদকে খেলানো হয়! সানরাইজার্সের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান প্যাট কামিন্সের। ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন হায়দরাবাদের নেতা। তাঁর জন্য একশোর গণ্ডি পার করতে পারে সানরাইজার্স। নয়তো আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত। 
  • Link to this news (আজকাল)