• রিমাল: ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিপজ্জনক, বাংলায় বিপর্যয়ের লাল সতর্কতা; এই মূহুর্তের আপডেট
    আজ তক | ২৭ মে ২০২৪
  • উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল ১৩ কিমি বেগে উত্তর দিকে সরে গেছে। পশ্চিমে খেপুপাড়া (বাংলাদেশ), মংলা (বাংলাদেশ) থেকে ২২০ কিমি দক্ষিণে, সাগর দ্বীপপুঞ্জের (পশ্চিমবঙ্গ) ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে ক্যানিংয়ের দক্ষিণ-পূর্ব। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের চারপাশে সর্বাধিক স্থায়ী বাতাসের গতিবেগ ১০০-১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা দমকা থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিরাজ করছে।

    রিমাল এখন মংলার (বাংলাদেশ) দক্ষিণ-পশ্চিমে মধ্যরাতের মধ্যে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে সাগর দ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যে প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। আরও তীব্র হতে পারে এবং বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সর্বোচ্চ ১১০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।

    এদিন সকালে সাগর ব্লকে মাইকিং করে রেমাল নিয়ে সতর্ক করছে পুলিশ এবং প্রশাসন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন সাগরে স্নান করা যাবে না। যে সব পুণ্যার্থী এসেছেন সাগরে, তাঁদেরও বারণ করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় সরে যেতেও বলা হয়েছে। পাথরপ্রতিমায় মাইক প্রচারের মাধ্যমে ব্লক প্রশাসন নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের সতর্ক করেছে। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় যেতে বলা হয়েছে। মাটির বাড়িতে বসবাসকারীদের স্থানীয় ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    নন্দকুমারপুর, কঙ্কণদিঘিতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল থেকে স্থানীয় স্কুলে সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের। নদীর ধারে যাঁদের মাটির বাড়ি, তাঁদের কাছে গিয়ে সতর্ক করেছেন প্রশাসনের কর্মীরা। রবিবার রাতে ঘরে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় স্কুলে খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। 

    ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। কলকাতা-সহ ছয় জেলায় লাল সতর্কতা। তার মধ্যে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি চার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     
  • Link to this news (আজ তক)