বিশ্ববিখ্যাত দার্জিলিং চায়ের যুগ শেষ হয়ে এল! আর মিলবে না অপূর্ব এই পানীয়'
২৪ ঘন্টা | ২৭ মে ২০২৪
প্রদ্যুত দাস: উত্তরের চায়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে পারে গোটা বিশ্বের চা-প্রেমীরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে উত্তরের তরাই ও ডুয়ার্সের আবহাওয়ায়। আর এই আবহাওয়ায় উত্তরের চায়ে দেখা দিচ্ছে ভাটা। এমনটাই আশঙ্কা করছে ক্ষুদ্র চাষি সমিতি। ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চায়ের দেখা প্রয় মিলছেই না তেমনভাবে। সেকেন্ড ফ্লাশ যে চা উৎপাদন হবে, তারই চল্লিশ শতাংশ সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি।
চা-চাষের জন্য দরকার ৩০ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। চায়ের জন্য এই এটাই অনুকূল উষ্ণতা। কিন্তু বর্তমানে উত্তরের চা-বলয়ে উষ্ণতার পরিমাণ রয়েছে ৩৮ থেকে ৪০° সেলসিয়াসের মতো। পাশাপাশি দরকার ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত। কিন্তু এখন বৃষ্টিপাতের দেখা নেই।কেন এমন ঘটছে? এটা ঘটছে মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই দেখা যাচ্ছে চা-গাছের চাষের এবং চা-পাতা উৎপাদনের নানা সমস্যা। আর এজন্য বহু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন ক্ষুদ্র ,মাঝারি চা-চাষি-সহ বড় বড় চা-কোম্পানিগুলিও। চা-শিল্পপতিরা অন্তত এমনই মনে করছেন। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এত গরম পড়ল উত্তরবঙ্গে তথা জলপাইগুড়িতে। যদি ভবিষ্যতে এমনই গরম পড়তে থাকে, তাহলে আগামীদিনে আগের মতো চায়ের স্বাদ আর পাবেন না বিশ্ববাসী। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভূগোল মঞ্চের সদস্যরাও। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে, তার উপরে যদি এখনই নিষেধাজ্ঞা না টানা হয়, তবে সমূহ বিপদ। সেক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি গরম পড়বে। বিশ্ব জুড়ে বাড়বে গরমের পরিমাণ। আর সে ক্ষেত্রে বাদ যাবে না জলপাইগুড়ি জেলাও। তা আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য অদূর ভবিষ্যতে উত্তরের চা-শিল্প যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে, তা বলাই যায়-- এমনই মত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের।