বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছে সংসদ ভবনের কাজ। নতুন সংসদ সদস্যদের জন্য ভবন সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে জোরকদমে। দিল্লিতে এই মূহূর্তে তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি। তবে ঝলসে দেওয়া রোদের ঝাঁঝ আর গরমকে উপেক্ষা করেই চলছে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি। পুরনোর থেকে নতুন সংসদ ভবনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিকে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষে।গর্ত খুঁড়ে সংসদ ভবন চত্ত্বর জুড়ে বসানো হয়েছে বিশেষ পাথর। কর্নাটক থেকে এই পাথর আনা হয়েছে। সংসদ ভবনে যাতে কোনওভাবেই জল না জমে, তারজন্য কয়েক সেন্টিমিটারের ব্যবধানে বসানো হয়েছে বিশেষ পাথর। সেই পাথরের মাধ্যমেই জল গড়িয়ে বাইরে চলে যাবে। বর্তমানে যে ওয়েটিং এরিয়া রয়েছে, সেটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে একটি ওয়েটিং এরিয়া তৈরি করা হচ্ছে। নতুন ওয়েটিং এরিয়া সংসদে নব নির্বাচিত সদস্যদের কাজের অনেক সুবিধা করে দেবে বলে দাবি আধিকারিকদের। মূল সভা কক্ষে প্রবেশ করার আগে একটি হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করা হচ্ছে। সংসদ ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের দাবি, যেহেতু অনেক নব নির্বাচিত সাংসদ থাকবেন, এই এরিয়া তাঁদের পক্ষে সহায়ক হবে। তবে বর্তমানে নতুন সংসদ ভবনের রিছু জায়গায় অগোছালো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাস্তার কাজ হওয়ার জন্য কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। নির্মাণকাজের জন্য বাতানুকুলিন যন্ত্র বা এসি কাজ করছে না প্রায় ২ মাস ধরে। যেহেতু সমস্ত ঘর সেন্ট্রালি এসি পদ্ধতি থাকবে সেই কারণে নতুন করে সমস্তরকম সরঞ্জাম কিছুদিন খুলে রেখে নতুন করে বসানো এবং নির্মাণ করা হচ্ছে।২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বরে লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন হওয়ার পর সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সিআইএসএফকে। তাঁদের থাকার জন্যও পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফেসিয়াল রেকগনাইজেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরেই সংসদ ভবনের সংস্কারের বরাত ডাকে কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, রিসেপশন, নিরাপত্তা চত্ত্বর, বৈদ্যুতিন পরিষেবা, নিকাশি সহ বিভিন্ন জায়গার সংস্কার করা হবে।